পাকিস্তানে ওষুধ সংকট চরমে, অস্ত্রোপচারও বন্ধের উপক্রম
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তান। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যখাতেও। নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রায় সব হাসপাতালগুলোতে। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ওষুধ আমদানিও করতে পারছে না পাকিস্তান। এমনকি, দেশীয় ওষুধ শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে দেশটিতে ওষুধ উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানাচ্ছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। যে কারণে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আনতে পারছেন না উৎপাদনকারীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যেই অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা সরঞ্জাম শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে চেতনানাশক ওষুধ। এছাড়াও যারা হাসপাতালে চাকরি করেন তারাও চাকরি হারাতে পারেন। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ সংকটের জন্য দেশের আর্থিক অবস্থাকে দায়ী করছে ওষুধ উৎপাদনকারীরা। তাদের দাবি, ওষুধ আমদানির জন্য এলসি খুলছে না বেসরকারি ব্যাংকগুলো।
পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশই আমদানি করা হয় চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। মার্কিন ডলার সংকটের কারণে ওষুধ শিল্পের অনেক কাঁচামাল করাচি বন্দরে আটকে রয়েছে।
পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন