‘পাগল ছাড়া তো কেউ জাতীয় পার্টি করে না’

‘আমরা সবাই পাগল, পাগল ছাড়া তো কেউ জাতীয় পার্টি করে না’-দলের যৌথসভায় কেন্দ্রীয় এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের এক নেতা এমন মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার থেকে চলা জাতীয় পার্টির দুই দিনব্যাপী চলা যৌথ সভার দ্বিতীয় দিন শনিবার এই ঘটনা ঘটে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে চলছে এই সভা। পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মুহম্মদ এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত হন সেখানে।

পুরো কাহিনিটা এমন: দর্শক সারির সামনের আসনগুলো সংরক্ষিত ছিলো বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল নেতাদের জন্য। আসন সংখ্যা সীমিত, তবে নেতার সংখ্যা অগুণতি। তাই একটু সামনের দিকে বসার জন্য শুরু হয় তীব্র প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে একপর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য রাখা সংরক্ষিত আসনেও বসে পড়লেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েকজন নেতা। এদিকে সাংবাদিকরা নিজেদের আসন দখল হয়ে যাওয়ায় মঞ্চে বসা এক কেন্দ্রীয় নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন।

এমন অব্যবস্থাপনায় বিরক্ত হয়ে এক সাংবাদিক বললেন, ‘সাংবাদিকদের বসার জায়গা না থাকলে আমরাতো কাভার করতে পারব না।’ তার কথা শুনে একপর্যায়ে মঞ্চ থেকে উঠে সেই কেন্দ্রীয় নেতা মাইকে সবাইকে অনুরোধ করলেন সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত আসন ছেড়ে দিতে। যারা বসে ছিলেন তারা উঠে পড়লেন নেতার নির্দেশে। কিন্তু একজন গো ধরে বসে থাকলেন। তিনি আবার একটি জেলার বড় নেতা।

ওই নেতা কথা না শুনে বসে থাকায় মঞ্চ থেকে হনহন করে নেমে কেন্দ্রীয় নেতা তাকে কড়াভাবে বললেন, ‘কী ব্যাপার আপনি কথা শুনছেন না কেন? সাংবাদিকদের আসন ছেড়ে দিন।’

এমন নির্দেশ শুনে সেই জেলা পর্যায়ের নেতা বললেন, ‘আপনি আমাকে চিনেন নাই, আমি এমপি ইলেকশন করছিলাম আগে, যদিও এমপি হতে পারি নাই বাট ক্যান্ডিডেট তো ছিলাম।’

কেন্দ্রীয় নেতা তখন বললেন, ‘আরে, আমি কি জানতে চাইছি আপনি কি ইলেকশন করছেন, আর কীসের ক্যানডিডেট? পাগল নাকি আপনি…?’

কেন্দ্রীয় নেতার এমন কথায় সেই তৃণমূল নেতা আসন ছেড়ে উচ্চস্বরে বললেন, ‘হ্যাঁ, পাগলইতো, পাগল ছাড়া তো কেউ জাতীয় পার্টি করে না। কেউ বড় পাগল, কেউ ছোট। বাট আমরা সবাই পাগল!’ তার এমন কথায় হলশুদ্ধ সবাই হা হা করে হেসে উঠলেন।

সাংবাদিক আদিত্য আরাফাত এই অভিজ্ঞতাটা তার ফেসবুতে তুলে ধরেছেন। তবে ওই তৃণমূল নেতা বা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতার নাম পরিচয় তিনি জানাতে পারেননি।