পাটগ্রাম সীমান্তে বিজিবি ও স্থানীয় যুবসমাজের মাঝে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের ভেরভেরিহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজিবি ও স্থানীয় যুব সমাজের মাঝে একটি প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে। খেলার আগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মামুনূর রশীদ, পিএসসি।

বিজিবি সেক্টর কমান্ডার উক্ত মতবিনিময় সভায় বলেন, যুবকরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যত। একটি সুস্থ যুব সমাজ গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। খেলাধূলা যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার এবং নৈতিক শিক্ষার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। মাদকাসক্তি সমাজের জন্য বড় হুমকি, যা তরুণদের জীবনের মানকে নষ্ট করে এবং পরিবার থেকে শুরু করে সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই ধরনের খেলার আয়োজন যুবকদের সঠিক পথে পরিচালিত করে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হয় এবং সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে।

সেক্টর কমান্ডার আরো বলেন, বিজিবি হচ্ছে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্ত অতিক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালান বন্ধ করা বিজিবি’র একার পক্ষে কষ্টসাধ্য। এ ব্যাপারে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার যুব সমাজ মিলে সকলে এগিয়ে আসলেই সীমান্ত অনুপ্রবেশ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে এবং চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বিগত বছর গুলোতে যারা দূর্নীতি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলো তারা যেনো কোন ভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিজিবি সেক্টর কমান্ডার প্রীতি ভলিবল ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের পূর্বে স্থানীয় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন এবং তাদের প্রতিনিধিগণের সাথে সাক্ষাত করেন এবং পূজাকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার খবর নেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি ঐতিহ্য যা যুগের পর যুগ ধরে সমাজকে স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি এবং জাতি এখানে মিলেমিশে একসাথে বসবাস করে। এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে, আমাদের পরস্পরের প্রতি সম্মান, সহনশীলতা এবং সহযোগিতা দেখাতে হবে।

তিনি আরও বলেন সীমান্ত হত্যা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি প্রতিপক্ষের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত পতাকা বৈঠক ও সৌজন্য সাক্ষাত পরিচালনা করে আসছে। সীমান্তে বসবাসরত নিরীহ জনসাধারণ যাতে হত্যার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত জনসচেতনতামূলক সভার মাধ্যমেও সকলকে প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে। পরিশেষে তিনি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধে স্থানীয় জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিজিবি তথা প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য মনোভাব ব্যক্ত করেন। উপস্থিত খেলোয়াড়দের ও যুব সমাজকে উৎসাহ প্রদান করতে তিনি খেলাধুলার সামগ্রী হস্তান্তর করেন এবং উপহার প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চারটি সিলিং ফ্যান প্রদান করেন।

উক্ত সভায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।