পানি বেড়ে ‘১০ হাজার মানুষ’ পানিবন্দি কুড়িগ্রামে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে; দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে; এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

বাসিন্দারা বলছেন, আমন বীজতলা, পাট, পটল, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া চরের সড়কে পানি ওঠায় কাঁচা সড়কগুলো ভেঙে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পশু খাদ্যের সংকট।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে ২০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, মঙ্গলবার (২০ জুন)রাজারহাট উপজেলার কিং ছিনাই গ্রামের বাসিন্দা তৌহিদুল ও মোজা মিয়ার বাড়ি ধরলার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে আরও ১০টি পরিবার।

পানি বাড়ায় ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলায় ভাঙনে ২০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মেকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৫৪১ টন চাল, ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।