পাবনার চাটমোহরে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা: ধর্মমামা আটক

পাবনার চাটমোহরে ধর্মমামা কর্তৃক এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পুলিশ ওই ধর্ষক ধর্মমামা সাইফুল মন্ডল (৫০) কে আটক করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে।

আটক সাইফুল মন্ডল দাথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের মৃত তফিজ মন্ডলের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রী।

এ ব্যাপারে থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৭, তাং ২৮.০২.২০২২ ইং।

অভিযোগে জানা গেছে, দাথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের সাইফুল মন্ডলের সাথে ধর্ম ভাই সম্পর্ক করে একই গ্রামের এক ব্যক্তির স্ত্রী। সেই সুবাদে ওই ব্যক্তির মেয়েরা সাইফুলকে মামা বলে ডাকতো। এ সুযোগে লম্পট সাইফুল সম্প্রতি ওই ব্যক্তির ছোট মেয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। এসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে বিষয়টি সাইফুল ওই মেয়েকে জানিয়ে ফের ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি নিয়ে আর কোন আলোচনা হয় না। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েন। জানাজানি হয় ঘটনাটি। লম্পট সাইফুল মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দেবার প্রলোভন দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। কেটে যায় ৬ মাস। ব্যাপারটি গ্রামবাসী জেনে যায়। বিয়ে, জমি আর টাকার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব দেয় সাইফুল গং। কিন্তু গ্রামবাসী বিষয়টি থানা পুলিশে জানায়।

পুলিশ ঘটনা জানার পর পাবনার পুলিশ সুপার মাহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশে সাইফুল মন্ডলকে আটকে অভিযান চালায়। চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ গত দুইদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে উপজেলার বাঙ্গালা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধর্ষক সাইফুল মন্ডলকে আটক করে।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর এসপি স্যারকে অবগত করি। এরপর তাঁর নির্দেশে ধর্ষক সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।