পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক ব্যাক্তির ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশিদুল ইসলাম।

নিহত হাসিনুর রহমান হাসু পৌর এলাকার হাড়োপাড়া মহল্লার আব্দুস সোবহানের ছেলে। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশিদুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, হাসিনুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে বাড়িতে ফেরেন। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ ঘরে একাকি শুয়ে ঘুমিয়ে পরেন। তবে বুধবার দুপুর পার হয়ে গেলেও বাড়ির লোকজন তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার ঘরের দরজায় বাহিরে তালা দেওয়া এবং ঘরের মাটির মেঝে খোড়া দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে হাসিনূরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানালে সাড়ে তিনটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ওসি আরো জানান, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের তিনটি গভীর ক্ষত রয়েছে। দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।

ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান হোসেন বলেন, নিহত হাসু ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজারে নিজেরই দর্জির দোকানে সেলাইয়ের কাজ করতো। তার কোন শত্রু ছিল না। তবে তার বড় বউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে সে ২য় বিয়ে করেন। সেই ২য় বিয়েও সম্প্রতি ছাড়াছাড়ি হয়। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছিল। কেন কারা তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই, তবে এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে।