পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রাসায়নিক সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2020/12/complain-অভিযোগ-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রাসায়নিক সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো পাকা রসিদ (ভাউচার) দিচ্ছেন না। এতে কারও কাছে অভিযোগও দিতে পারছেন না তারা। ডিলারের দাবী প্রয়োজনের তুলনায় সারের সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় বাজারে দাম বেড়েছে।
জানা গেছে, সরকার কর্তৃক রাসায়নিক সারের নির্ধারিত মূল্য, ৫০ কেজির একবস্তা টিএসপি সারের মূল্য একহাজার ১০০ টাকা। ডিএপি সার ৮০০ টাকা। ইউরিয়া সার ৮০০ টাকা। পটাশ (এমওপি) সার এক বস্তা ৭৫০ টাকা। এ উপজেলায় মোট ৭ জন বিসিআইসি এবং ১৩ জন বিএডিসি সার ডিলার রয়েছেন।
বিসিআইসি অনুমোদিত হলো- শরৎনগর বাজার লাকী ট্রেডাস, খাদিজা এন্টারপ্রাইজ, পাবনা জুট বেলিং, হোসেন হায়দার, সেভেন এইচ ট্রেডার্স, অষ্টমনিষা বাজার রাম কুমার শীল ও জগন্নাথ শীল।
সার কিনতে আসা উপজেলার কঠোবাড়িয়া, চর ভাঙ্গুড়া ও মাগুরা গ্রামের কৃষকরা জানান, বাজারে প্রতিমণ ধান ১১০০ টাকা দরে বিক্রি করে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার ৮৪০ টাকায় কিনেছেন। তারা আরো জানান, গত সপ্তাহেও তারা প্রতিবস্তা ইউরিয়া সার ৮০০টাকা দরে কিনেছেন।
বেশি দামে সার কেনার জন্য তাদের বোরো চাষে উৎপাদন খরচ বাড়ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের কিছু অসাধু ডিলার নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষে সার কেনার সময় কৃষকদের কাছে ভাউচার ছাড়াই সার বিক্রি করছেন। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় ডিলাররাই সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন।
ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর বাজারের আমদানীকারক খাদিজা এন্টারপ্রাইজের সার বিক্রয় প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বাবলু অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সরকারের নির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করছি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোন লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তবে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল বলেন, কোন ডিলার সরকার নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে নিতে পারবে না। যদি কোন ডিলার অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন