পাবনার সাঁথিয়ায় জামায়াত-শিবিরের ৯ নেতাকর্মী জেল হাজতে

পাবনার সাঁথিয়ায় গোপণ বৈঠক চলাকালে অভিযান চালিয়ে নয়জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সে সময় সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) পাবনা আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার হলুদঘর গ্রামের আলাউদ্দিন (৩৯), মেহেদী হাসান (২৮), মাছখালী গ্রামের আব্দুল করিম (৫০), নন্দনপুর গ্রামের আলী মর্তুজা (৪৩), করমজা মল্লিকপাড়া গ্রামের হারন অর রশিদ (৫১), মরিচপুরান গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩২), করমজা সরদারপাড়া গ্রামের ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৪৭), শহীদনগর বাবুপাড়া গ্রামের রোস্তম শেখ (৩২) ও বেড়া উপজেলার শানিলা সাহাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (৪০)।

পুলিশের দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ৫০/৬০ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপণ বৈঠক করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠক ছেড়ে অনেকেই দৌঁড়ে মাদরাসার প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে সাত জনকে আটক করা হয়। সে সময় সভাস্থল থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত লাল কচটেপ দ্বারা মোড়ানো সাতটি ককটেল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ঘ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৪ ধারার অপরাধ আইনে থানায় মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান জানান, আটককৃত নেতাকর্মীদের তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।

সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ক্ষতিকর ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদনের জন্য গোপণ বৈঠক করছিল। তাদের বুধবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।