পাবনায় ইছামতি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দুই দফা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু
পাবনায় আলোচিত ইছামতি নদীর দুইপাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দুই দফা বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) বেলা ১১টা থেকে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিন শহরের লাইব্রেরী বাজার-ডিসি রোডের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সামনে থেকে অভিযান শুরু হয়। দিন শেষে শহরের রায়বাহাদুর গেটের পেছন পযর্ন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউসার হাবিবসহ আরও অনেকে।
পাবনাবাসীর প্রত্যাশিত এই উচ্ছেদ অভিযান চলা কালে আইন শৃংখলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দিনব্যাপী এই অভিযানে বড় বড় দ্বিতল এবং তিনতলা ভবনসহ কমপক্ষে অর্ধশত অবকাঠামো ভেঙ্গে নদীর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। যার অনুমানিক বাজার মুল্য প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পাবনা শহর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর কোল ঘেষে পুরো শহরের অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের মামলার বাইরে থাকা দখলগুলো আমরা উচ্ছেদ করে মুক্ত করবো। পর্যায়ক্রমে ইছামতির ৩৩৪ জন তালিকাভুক্ত অবৈধ দখলদারসহ গোটা জেলায় প্রায় সহ¯্রাধিক অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম পাবনায় ইছামতি নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে চেষ্টা করলেও প্রভাবশালীদের চাপে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন