পাবনায় ‘পুলিশের বন্ধু বঙ্গবন্ধু’ নামে ঐতিহাসিক স্থিরচিত্রে সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন
‘কামালের মা আজ মুরগীর ঝোল রান্না করেছে আয় একসাথে খাব’। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু তাঁর বাসভবনে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্যকে আদর করে হাত ধরে ডেকে নিচ্ছেন খাওয়ার জন্য। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের রূপকার স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কতটা মানবিক ও আন্তরিক ছিলেন সেটি আরো একবার তুলে ধরা হলো এই ছবির মাধ্যমে।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ‘পুলিশের বন্ধু বঙ্গবন্ধু’ নামে এই স্থিরচিত্রের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমান আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পুলিশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বিভিন্ন মুহুর্তের নানা স্থিরচিত্র নিয়ে পাবনা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে শৈল্পিক ও নান্দনিক সৌন্দর্যবর্ধন শোভা পেয়েছে প্রায় ৩৩টি স্থিরচিত্র। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালেয়র প্রবেশ মুখের করিডরের দেয়াল ও উপরে উঠার সিঁড়িতে টানানো হয়েছে এই ছবিগুলো। মূল ছবিতে নিজ বাসভবনের লুঙ্গি পরা বঙ্গবন্ধু আদর করে খাওয়ার জন্য ডেকে নিচ্ছেন তার নিরাপত্তার কাজে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে। এই মহামানবের পুলিশের সঙ্গে ঐতিহাসিক নানা মুহুর্তের বেশ কিছু স্থিরচিত্র আগামী প্রজন্মের পুলিশ সদস্য ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আগত সকলেই এক নজরে দেখতে পাবেন।
প্রবেশ মুখের মুল দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও এক পুলিশ সদস্যের সেই সময়ের সংগৃহিত ছবি বড় করে দেখানো হয়েছে। পাশে একই ফ্রেমে আরো ২১টি ছবি রয়েছে। প্রতিটি ছবির নিচে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। দেয়ালের আরেক প্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ জুনুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রথম পুলিশ সপ্তাহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষন তুলে ধরা হয়েছে। এ যেনো সংক্ষিপ্ত পুলিশের ইতিহাস সমৃদ্ধ ছোট জাদুঘর। একনজরে ইতিহাসকে জানা ও বাংলাদেশ কে ধারণ করার এক দারুন প্রয়াস।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন