পাহাড়ে অশান্তি চাই না, কঠোর অবস্থানে যাবো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ডাকাতির কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল এবং কারো গাফিলতি ছিল কিনা সব কিছুই দেখা হবে।
শনিবার সকালে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটলো, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখবো। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।
‘আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবো। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করবো এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো,’ যোগ করেন তিনি।
অভিযান শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করবো।’
এত বড় একটা ঘটনা ঘটলো, গোয়েন্দা তথ্য আপনাদের কাছে ছিল না—এটাকে কীভাবে দেখছেন গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব কিছুই দেখবো। কারো গাফিলতি আছে কিনা সব কিছুই দেখবো। কোন জায়গা থেকে ফেল করেছে কিংবা পায়নি এ সব কিছু আমরা দেখবো।’
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্বৃত্তদের হাতে জিম্মি মসজিদের ইমাম নূর হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন