পিরোজপুরে চরখালী-টগড়া ফেরিঘাটে নৌকা বা ট্রলারে চলাচলে ভোগান্তি
পিরোজপুরের আঞ্চলিক মহাসড়কের কঁচা নদীর টগড়া-চরখালী ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা-বরিশাল-পিরোজপুর-ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, বরগুণা, আমুয়া, কাঠালিয়াসহ ১২রুটের বাস ও লোকজন চলাচল করে। এছাড়া পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মাছবাহী ট্রাক এবং খুলনা ও যশোর থেকে আসা সবজিবাহী ট্রাক এ ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়। নিয়মিত দুটি ফেরি চলাচল করে। আবার বেশির ভাগ সময় একটি ফেরি দিয়েই গাড়ী পারাপার করা হয়। তখন দুই পাড়ে অনেক ছোট বড় যানবহন ও লোকজন দাড়িয়ে থাকে। ফেরি এক পাড়ে থাকলে অন্য পাড়ের যাত্রীরা বাধ্য হয়ে নৌকা ও ট্রলারযোগে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়।
ট্রলার ভাড়ার নেই কোন নীতিমালা। জনপ্রতি নেওয়া হয় ২০টাকা করে আর মটরসাইকেলসহ ২জনের ভাড়া ৬০টাকা, রাত্র হলে তা হয়ে যায় দ্বেড়গুন। তখন তারা ইচ্ছেমত ভাড়া হাকেন। নদী পাড় হতে হলে দ্বেড়গুন ভাড়া দিয়েই পাড় হতে হয়। ট্রলারে লোক ভর্তি হলেও ছাড়েনা, ফেরি যখন ওপার থেকে নদীর মাঝ বরাবর আসে তখন তারা ঘাট থেকে ট্রলার ছাড়ে।
নেই কোন সময়সীমা। সব কিছু যেন চলে ওদের ইচ্ছে মত। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা এখানের পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে যাত্রীদের পানিতে ভিজে ওঠা-নামা করতে হয়।
ট্রলার পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া দরকার ও ভাড়া নির্দিষ্ট করে দিতে পারলে দূর হবে সাধারণ মানুষের নদীপারাপারের ভোগান্তি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেণ নদীপারাপারের সাধারণ মানুষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন