পিরোজপুরে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হাম*লার অভিযোগ, আহত ৮
পিরোজপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদলসহ ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের পুরোনো বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘঠেছে।
এটিকে হামলা উল্লেখ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদের দায়ী করেছে জেলা বিএনপি।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিব নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- ছাত্রদল কর্মী কে এম ফেরদৌস বাপ্পী শেখ (২২), পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. মেহিদী হাসান শাওন (২৪), পৌর কৃষকদলের সহ-সভাপতি শাহীন গাজী (৫৪), পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিজ আহমেদ সিয়াম(২৫), যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম সজল, ছাত্রদল নেতা ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মাসুম। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কে এম ফেরদৌস বাপ্পী শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম সজল বলেন, জুনিয়র-সিনিয়রের মধ্যে মারামারি সংক্রান্ত একটি পুরোনো ঝামেলা ছিল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, আগে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিল। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যায় পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিব নামের এক তরুণ বেøড দিয়ে এলোপাতাড়ি পোচ দিতে থাকে। যাঁদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তা না করে এ ঘটনা ঘটালেন তাঁরা।
অন্যদিকে আহত অবস্থায় মেহেদী হাসান দাবি করেন, ‘কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের বিভিন্ন দেয়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা “জয়বাংলা” স্লোগান লিখছিল। আজ সন্ধ্যার পর পুরোনো স্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্র হচ্ছে, এমন খবরে আমরা পৌর ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩০ জনের মতো ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের ওপর সার্জিক্যাল ব্লেড নিয়ে হামলা করা হয়েছিল।
হামলার পেছনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত পাঁচ আগস্টের আগে যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তারাই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গতকাল আমাদের ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর আবার তারাই হামলা করেছে।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল।
তিনি বলেন, এটি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ছাত্রলীগের কর্মীরা বর্তমানে এলাকায় নেই। এ ছাড়া সংগঠনটির সঙ্গে রাকিব নামের ওই তরুণের কোনো সম্পর্ক নেই।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। ইতোমধ্যে রাকিব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন