পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নবী হোসেন হত্যা মামলার ৫ আসামি কারাগারে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া এলাকার কৃষক নবী হোসেন হত্যা মামলার ৫ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালত এই নির্দেশ দেন।

জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানো আসামিরা হলো-(১)মো. শহিদ পিতা-মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদার (২) মো.ডালিম পিতা-মৃত সালাম মহুরি (৩) মো. আল আমিন পিতা-আব্দুর রব ৪.মো.দুলাল পিতা-মৃত চান মিয়া আকন এবং (৫) মো.মহারাজ ওরফে মহসিন পিতা-মৃত আব্দুস সোবহান।

আসামিরা গত ৬ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিল।এরপর গত ১০ নভেম্বর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিলে ১৮ নভেম্বর শুনানীর দিন ধার্য করা হয়। এ দিন হাজিরা দিলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া ১০ আসামির মধ্যে উক্ত ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে এবং ৬ নং আসামি সুরমা বেগম সহ ৪ আসামির জামিন মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত। সুরমা বেগম প্রধান আসামি শহিদ হাওলাদারের স্ত্রী।

উচ্চ আদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত একজন আসামি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেনি।তিনি হলেন- তানজিলা।আত্মসমর্পণ না করায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।ইলিয়াস নামে এক আসামি ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটে জামিনে আছে। এছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, নিহত কৃষক নবী হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শহিদ ও নবী হোসেন আপন ভাই।আর্থিক অনটনে শহিদ তার সমুদায় সম্পত্তি পর্যায়ক্রমে নবী হোসেনের নিকট বিক্রি করে দেয়। জমিজমা হারিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে শহিদ।সর্বশেষ বড়মাছুয়া বাজারে ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুর করে।

একপর্যায়ে নবী হোসেনের বাড়ির একাংশ দখল করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে একাধিক মামলা মোকদ্দমারও সৃষ্টি হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থানা পুলিশের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে ৭ ও ৮ আগস্ট ২ দফায় তার ওপর হামলা চালানো হয়।

প্রধান আসামি শহিদ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বাড়ি ঘরের ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে ওই কৃষকের ৮ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক নবী হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় নবী হোসেন বাদি হয়ে গত ১৪ আগস্ট মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নবী হোসেন মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হয়।