পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বীরনিবাস নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশারেফ উদ্দিন আহমেদের (গেজেট নং-ন্যাপ:১২৪) বীর নিবাস নির্মান নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি। এতে কোন লাভ হয়নি। এজন্য গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দিয়েছেন। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ,২য় পর্যায়ে বীর নিবাস নির্মানের জন্য সরকার ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার এ টাকায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। এজন্য আমিও প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কিন্তু তারপরও কাজ সঠিক না হওয়ায় আমার এ অভিযোগ।
তিনি বলেন,গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘরের কাজ সম্পন্ন করার কথা। অথচ আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয় নি।কোথাও অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। কেউ কারো কথা শোনা না।ঠিকাদারের কথা শুনে মনে হয়,তিনি যে কাজ করবেন সরকারি কর্মকর্তারা তাই মেনে নিবেন।
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ, কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন,”আপনি কি চাঁদের দেশ থেকে এসেছেন?” তখন আমি বলি যে,”না,আমি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছি।” আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি,”আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনি কি বান্ধবপাড়া (পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা) থেকে এসেছেন?”
গণমাধ্যম কর্মীদের বীর নিবাস দেখিয়ে এক এক করে অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখান তিনি।প্রথমে দরজা দেখান।জোরাতালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৩টি দরজা।ফ্রেম মেহগনি কাঠের।তক্তা কিসের তা বোঝা যায় না।এক একটি তক্তা ৪ ইঞ্চি প্রস্থ।এখনই ঘুনে ধরেছে। ৯টি জানালায় নিম্ন মানের গ্লাস লাগানো হয়েছে। সাদা, পাতলা এবং হালকা।গ্লাসে স্পট ধরেছে।কক্ষের অধিকাংশ জায়গা জুড়েই জানালার এ গ্লাস দিয়ে বাহির থেকে ভিতরের সবই দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, পোতার পিড়ার নিচে ৩ ইঞ্চি সিসি না দেওয়ায় আমি নিজ খরচে সেখানে গ্রেট ভিম দিয়েছি।পিড়ার উপড়ে ড্যাম প্রুভ না দেওয়ায় সেখানেও নিজ খরচে গ্রেট ভিম করে দিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘর মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ উদ্দিন বীর নিবাস নির্মানে নিজেও খরচ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২৬ হাজার ৩’শ ১৯ টাকার রড, ৪৩ হাজার ৮’শ ৯০ টাকার সিমেন্ট,৩৫ হাজার টাকার বালি, ১ লাখ টাকা শ্রমিকদের মজুরি এবং সেফটি ট্যাংক নির্মান।
এছাড়াও ফল্স সিলিংয়ে অনিয়ম,ছাদের উপরে প্যাটার্ণ স্টোন ঢালাই না দেয়া,সেফটি ট্যাংকির কাজ আজ পর্যন্ত ফেলে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদারের সাথে কোন কথাই বলা যায় না।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, আসলে ১৪ লাখ টাকায় বীর নিবাস করা যায় না। শতভাগ সঠিকভাবে কাজ করার প্রশ্নই আসে না।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বিষয়টি অবগত আছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন