পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ মিমাংসার চেষ্টা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৫ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরেই অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে মিমাংসার জন্য চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে ।ঘটনাটি এখন ওই এলাকার লোকজনের মুখেমুখে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি সামাজিক মর্যাদা সহ ন্যায় বিচার না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর (রবিবার) দুপুরের দিকে গাছ থেকে ঝড়ে পড়া সুপারি আনতে বাগানে যায় ওই শিশুটি। এ সময় প্রতিবেশী বাক প্রতিবন্ধী আলম জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চেলায় তাকে।
অভিযুক্ত আলম (৩৫) সাপলেজা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চড়কগাছিয়া গ্রামের জব্বার কাজীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর ভিকটিম বিষয়টি তার দাদিকে জানায়।এরপর ঘটনাটি ভিকটিমের মা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের বাবা সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনকে জানানো হয়। ২৯ নভেম্বর শিশুটিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এতে হাসপাতালের স্টাফ এবং সাংবাদিকরা বিষয়টি টের পায়। ১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে কি কারনে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।এছাড়া ১ নভেম্বর বেসরকারি একটি ক্লিনিকের চিকিৎসকের নিকট থেকেও একটি ব্যবস্থাপত্র নেওয়া হয়।
২ নভেম্বর শিশুটি তার স্কুলে যায়। ওইদিন শিশুটির মা এবং দাদি স্কুলে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি প্রধান শিক্ষককে জানায়।প্রধান শিক্ষক তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। এদিন বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ভিকটিমের বাড়িতে এসে ধর্ষণ চেষ্টার রিপোর্ট দেখতে চান। রিপোর্ট দেখাতে না পারায় বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা বলে চলে যায়। এরপর ৪ নভেম্বর ভিকটিমের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি মামলাভুক্ত হয়নি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান,অভিযোগ কার কাছে দিয়েছে জানি না।
অভিযোগ দিতে বলেন।এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন