পীরগঞ্জে বনবিভাগের উপকারভোগীদের ভাগ্যে দীর্ঘদিনেও মিলছেনা লভ্যাংশের অর্থ!
রংপুরের মিঠাপুকুর রেঞ্জাধীন পীরগঞ্জের ঝাড়বিশলা বনবিট এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক উপকারভোগী সদস্য দীর্ঘদিনেও তাদের লভ্যাংশের পাওনা টাকা না পেয়ে হতাশা আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।
ভূক্তভোগীরা জানায়, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন সংযোগ সড়কে সামাজিক বনায়নের অধীন অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উপকারভোগী (স্থানীয় দরিদ্র, ভূমিহীন) সদস্যদের সঙ্গে গণ-প্রজাতন্ত্রীর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বন অধিদপ্তর চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিকৃত সংযোগ সড়কের গাছগুলো সরকারীভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় দু’বছর পূর্বে বিক্রি করা হলেও অদ্যাবধী উপকারভোগীদের ভাগ্যে জোটেনি তাদের লভ্যাংশের টাকা। বিট অফিস ও রেঞ্জ অফিস ঘুরতে ঘুরতে উপকারভোগীরা তাদের পায়ের জুতা ক্ষয় করছেন মিলছেনা আশ্বাস। চুক্তি অনুযায়ী বন অধিদপ্তর (সরকার) ২০ শতাংশ, উপকারভোগী ৬৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ৫ শতাংশ এবং পুনরায় গাছ লাগানোর জন্য ১০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে উপকারভোগী সদস্য কাজী শামীম, অধীর চন্দ্র বর্মন, হবিবর রহমান, আফজাল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, বিধি অনুযায়ী চুক্তির মাধ্যমে সড়কে গাছ লাগানো হয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনও হয়েছে দু’বছর পূর্বে। কিন্তু আমাদের লভ্যাংশের টাকা প্রদানে এত দীর্ঘসূত্রিতা কেন?
এ বিষয়ে ঝাড়বিশলা বিট কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, উপকারভোগীদের নামের তালিকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন উপকারভোগীরা তাদের প্রাপ্য পাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।
মিঠাপুকুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল করিম জানান, যে সব সড়কের গাছ কর্তন করা হয়েছে ওইসব সড়কে পুনরায় গাছ লাগানোর পর উপকারভোগীদের লভ্যাংশের অর্থ প্রদান করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন