পীরগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছে নরসুন্দররা!
ঈদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ, কেনা-কাটা শেষের পথে। রাত পোহালেই মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এখন সময় নিজেকে পরিপাটি করার পালা। ঈদের আগের শেষ সময়টায় নিজেকে একটু পরিপাটি করে তুলতে ছেলে-বুড়ো সবাই চুল-দাঁড়ি কাটার প্রয়োজনে নরসুন্দরদের কাছে যাচ্ছেন।
আর সেই কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসুন্দররা।
পীরগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেলুন গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ঈদের মতো এবারও ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসুন্দররা।
স্বাভাবিক দিনের সময়ের চেয়ে পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন বেশি, তাদের দাবি মানুষ খুশি হয়ে তা দিচ্ছেও। দিনরাত সমান তালে কাজ করতে দেখা যায় তাদের। দোকানে ব্যস্ততা থাকায় অনেকেই নির্ঘুম রাত পার করছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় দেখা গেছে, শহরের সেলুনগুলোতে চুল কাটার জন্য অপেক্ষায় মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত। উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের সেনুয়া এলাকায় একটি সেলুনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ভিড় করছে বিভিন্ন বয়সের তরুণরা। অন্তর শর্মা নামে ওই সেলুনটির মালিক জানান, তার সেলুনে ২ জন কাজ করেন, দুই জনেই ব্যস্ত কারোরই দম ফেলার ফুসরত নেই।
মেহেদী হাসান নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, দিনের বেলায় কয়েকবার এসেছিলাম শিডিউল ( সিরিয়াল) খালি না পেয়ে ফিরে গিয়েছি। তাই সন্ধ্যার সময়টা বেছে নিয়েছি। এই সময় ব্যস্ততা একটু কম থাকায় শিডিউল পেয়েছি।
ফাহাদ হোসেন নামে আরেক যুবক বলেন, অন্য সময় মাথার চুল কাটাতে ৭০/৮০ টাকা লাগলেও ঈদের এ সময়ে দিতে হচ্ছে ১শ থেকে ১শ ২০ টাকা। সেভ করতেও দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
পৌর শহরের প্রাণী সম্পদ কার্যালয় রোডের নরসুন্দর দুলাল বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন অনেক কষ্টে ছিলো এ পেশার লোকজন। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সেলুনগুলোতে মানুষ আসছে। গত দুই-তিন দিন আগ থেকে কাস্টমারের চাপ কিছুটা বেড়েছে। ব্যস্ততার কারণে বাড়ি ফিতরে হচ্ছে গভীর রাতে।
পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব রোডের নরসুন্দর মনি বাবু বলেন, দাঁড়ি সেভ করা ও কাটার জন্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা এবং চুল কাটতে দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১শ টাকা। সবকিছুর দাম বেশি, তাই পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে।
সেনুয়া বাজার এলাকার সাদ্দাম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দুই ঈদ ও পূজা কেন্দ্রিক তাদের ব্যবসা। তাই ঈদের সময় সারারাত ও ঈদের দিন নামাজ এর পর কর্মব্যস্ত সময় পার করতে হয়।
এ নরসুন্দর বলেন, ঈদের এ মৌসুমটাকে পারিশ্রমিক একটু বেশি নেওয়া হয়, তবে তা জোর করে নয় যারা সেলুনে আসেন খুশি হয়েই বেশি করে দেন।
আরিফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, খুশি করে আমরা ১০/২০ টাকা দিতে পারি, অতিরিক্ত দাম বাড়ানোটা ঠিক নয়। ঈদ সবার জন্য এসেছে শুধু তাদের জন্যর একার নয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন