পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শ্বশুর
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর মোকসুদার রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আদিতমারি উপজেলার মহিষাশ্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সহায়তাকারী গ্রাম্য মাতব্বর মনছুর আলীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদিতমারি থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম।
পুলিশ জানান, মোকসুদার রহমানের ছেলে অটোচালক হাবিবুর রহমান তিন মাস আগে প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নববধূ শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করেন। স্বামী দিনের বেলায় অটো চালাতে বাহিরে থাকে। তার শাশুড়িও অন্যের বাড়িতে কাজে যাওয়ার সুবাদে শ্বশুর মোকসুদার রহমান বাড়িতে থাকে।
গত সপ্তাহে নববধূ জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ এনে দেন শ্বশুর মোকসুদার। এ সময় নববধূকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন তিনি। পরের দিনও শ্বশুর তাকে কু-প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নববধূকে মারপিট করে ধর্ষণ করে শ্বশুর মোকসুদার।
এভাবে সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার নববধূ বিষয়টি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানায়।
গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দিনে অটোরিকশা নিয়ে বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এসে নিজ চোখে বাবার অপকর্ম দেখতে পান ছেলে। এরপর বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হন ছেলে হাবিবুর রহমান। বাবাকে ধাওয়া করেও আটক করতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে পুনরায় কথাকাটাকাটি হলে নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা চালায় অটোচালক হাবিবুর রহমান।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিত নববধূ জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রথম দিন ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। দ্বিতীয় দিন বাধা দেয়ায় চোখে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে ধর্ষণ করে। এভাবে ৭ দিন লাগাতার ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানিয়েছি। তারা প্রথমে বিশ্বাস করেনি। শেষ দিন স্বামী নিজেই দেখেছেন। এই ক্ষোভে স্বামী বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি লম্পট শ্বশুরের বিচার দাবি করছি। এ ঘটনার পর থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছেন মোকসুদার রহমান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, লম্পট মোকসুদার রহমান অনেক মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছে। একাধিক গ্রাম্য বিচারে তাকে সতর্ক করা হলেও তার চরিত্রের কোনো সংশোধন হয়নি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মূল আসামিসহ তাকে সহায়তাকারী অপর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন