পুনে না মুম্বাই? কার ঘরে আইপিএল শিরোপা?
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে যে দুটি দলের ‘বিশেষ’ সম্পর্ক ছিল সেই কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বিদায় নিয়েছে দশম আইপিএল থেকে। গ্র্যান্ড ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হচ্ছে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামবে পুনে। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের চোখ তৃতীয় শিরোপার দিকে। হায়দারাবাদে এই ফাইনালটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
গত আসরে ৭ম স্থানে থেকে আইপিএল শেষ করেছিলো পুনে। চলতি মৌসুম শুরুর আগেই অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনে পুনে ফ্র্যাঞ্চাইজি। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সরিয়ে অজি ক্যপ্টেন স্টিভেন স্মিথকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের শক্তি বাড়াতে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে রেকর্ড মূল্যে দলে ভেড়ায় পুনে। তাকে দলে নেয়ার কারণটা লিগ পর্বে প্রদর্শন করেছেন স্টোকস। ব্যাট-বল দিয়ে সেরা পারফরমেন্সই দেখিয়েছেন তিনি। তবে প্লে-অফে খেলা হয়নি তার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন স্টোকস।
এছাড়া আগামী মৌসুম থেকে আইপিএলে থাকছে না পুনে এবং গুজরাট লায়ন্স। কারণ স্পট ফিক্সিং-এর দায়ে নিষিদ্ধ হওয়া দুই দল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আগামী মৌসুম থেকে পুনে ও গুজরাটের পরিবর্তে আইপিএলে দেখা যাবে চেন্নাই ও রাজস্থানকে।
তাই ভালোভাবে এই মৌসুম শেষ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন স্মিথ, “টুর্নামেন্টের সঠিক সময়ে সেরাটাই এখন প্রয়োজন। এটি সত্যিই এখন আমাদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ সময়। ”
কোয়ালিফাইয়ার-১ এ পুনের কাছে হারলেও, কোয়ালিফাইয়ার-২ এ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট পায় মুম্বাই। এই নিয়ে চতুর্থবারের মত ফাইনাল খেলবে দলটি। এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১১ জয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। অবশ্য চলতি মৌসুমে পুনের সঙ্গে ৩ বারের দেখায় সবগুলোতেই হেরেছে মুম্বাই।
২০১৩ ও ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের হাতে রয়েছে একাই ম্যাচ ঘুড়িয়ে দেয়ার মত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। বিদেশীদের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড ও নিউজিল্যান্ডের পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান অন্যতম। চলমান মৌসুমে সেটি বেশ কয়েকবারই প্রমাণ দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন ওপেনার উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেল। পরের দিকে রোহিতের সাথে পোলার্ড-দুই পান্ডে ভাই দলের জয়ে প্রধান ভূমিকাও রাখেন। তাই এরা পুনের বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেন।
কলকাতার বিপক্ষে জয়ের পর রোহিত শর্মা বলেছেন, “আমরা অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। শিরোপা জয় থেকে এখন আমরা এক ধাপ দূরে। পুনের বিপক্ষে আমাদের ভালো রেকর্ড নেই। তবে আর মাত্র একটি বাঁধা। ”
বোলিংয়ে মুম্বাইয়ের সেরা অস্ত্র জসপ্রিত বুমরাহ। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত সব ইর্য়কারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চুবানি দিচ্ছেন বুমরাহ। সাথে আছেন শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা-ম্যাকক্লেনাঘান-করন শর্মার মত বোলার। এখন দেখার বিষয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জাঁকজমক ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসরে কে শেষ হাসি হাসে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন