পুলিশ নাম রাখলো ‘শ্রাবণী খাতুন’
নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে ১৫ দিন বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার কর হয়। উদ্ধারের আগ পর্যন্ত কোনো নাম না থাকায় পুলিশ এই নবজাতকের নাম রাখে ‘শ্রাবণী খাতুন’। জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে শ্রাবণী খাতুনকে উপহার দেয়া হয় দুই সেট পোশাক।
পাবনার সাথীয়া উপজেলার মিয়াপাড়া থেকে গত সোমবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহীর ভালুকগাছী ইউনিয়নের পাঁচআনী পাড়া গ্রামের ওবাইদুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান এই শিশুটি। তার নয় বছরের অরও এক মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ওবাইদুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বাড়ি থেকে হাপাতালের উদ্দেশে বের হন। পরে তিনি পুঠিয়া উপজেলা হাসপাতালে না এসে তার নবজাতক মেয়েকে নিয়ে চলে যান নাটোর সদর হাসপাতালে। সেখানে এক আয়ার কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে আসেন। পরে ওই আয়া শিশুটিকে এক নার্সের কাছে রেখে আসেন। সেখান থেকে পাবনার সাথীয়া এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতি শিশুটিকে তাদের কাছে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনার সাথে শিশুটির মা শাহানাজ বেগম ও তার ভাই সম্পৃক্ত ছিলেন।
পরে শিশুটির মা শাহানাজ বেগম পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট থেকে তার সন্তান চুরি হওয়ার অভিনয় করেন। এ ঘটনার একদিন পর শাহানাজ বেগম থানায় তার সন্তান চুরি হওয়ার মামলা করেন। এর আগে তারা পুঠিয়া সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া পিপিএম জানান, অভাবের সংসার। সেই সঙ্গে মেয়ে সন্তান প্রসবের জন্য স্বামীর সংসারে কথা শোনার ভয়। এসব কারণে শাহানাজ বেগম সন্তানটি নিতে চাননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন