প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুই গ্রামে আটকা হাজার দশেক রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় আটকে পড়েছে দুই গ্রামবাসী। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ দুই রোহিঙ্গা গ্রাম ঘিরে রেখেছে এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় মগ সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে তাদেরকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এসব রোহিঙ্গা।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে আন্তর্জাতিক গণমারয়টার্সের সংবাদ। রয়টার্সকে টেলিফোনে আহ নায়ুক পাইন গ্রামের একজন রোহিঙ্গা কর্মকর্তা মং মং জানান, ‘আমরা আতংকিত। শীঘ্রই আমরা অনাহারে মারা যাব। তারা আমাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।’
রাখাইন রাজ্য সরকারের সচিব টিন মং সুই রয়টার্সকে জানান, তিনি রাথেডং কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছেন এবং রোহিঙ্গা গ্রামবাসীর এ ধরনের কোন আবেদনের তথ্য তিনি পাননি। স্থানীয় উত্তেজনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া কিছুই নেই। দক্ষিণ রাথেডং সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র মিয়ও থু সোয়েও এ ব্যাপারে তার কাছে কোন ধরণের তথ্য নাই বলে জানান। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশিয়া ব্যুরোর মুখপাত্র কাটিনা এডামস জানান, ‘এখনো দশ হাজার লোক উত্তর রাখাইনে খাদ্য, পানি ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছে। সরকারের উচিত দ্রুত এর কোন ব্যবস্থা নেয়া।’ তবে নির্দিষ্টি কোন গ্রামের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি তথ্য দিতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, অতিসত্ত্বর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন এবং তাদেরকে গৃহচ্যুত বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের প্রতি আহবান করেছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও কাটিনা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ করতে মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী এ সপ্তাহেই মিয়ানমার যাচ্ছে।
যদিও ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকার তাকে রাখাইনে যেতে দিবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৪ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছে। মিয়ানমারে মানবিক সংকট আশঙ্কাজনক। সেখানে মানবাধিকার কর্মী ও ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
এ দিকে রয়টার্সের ফটো সাংবাদিক এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ চরমপন্থীরা সেখানকার মুসলমান জনগোষ্ঠিকে তাড়িয়ে দিতে তাদের ঘরবাড়িকে অগ্নিসংযোগ করছে।
সংবাদ সংস্থাটির ফটোসাংবাদিক জানান, এখনো হাজার হাজার লোক নৌকা করে কক্সবাজারে প্রবেশ করতে সীমান্তে অপেক্ষা করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন