প্রথমবার পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে মুক্তি, বিয়ের আসরে ফের গ্রেফতার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিকে দ্বিতীয় দফায় তার বিয়ের আসর থেকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা ওই বরের নাম বাবু তালুকদার ওরফে রাসেল।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে বাবু তালুকদার ওরফে রাসেলকে আদাতলে সোপর্দ করা হয়। বাবু তালুকদার (৩৫) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমরবুনিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক তালুকদারের পুত্র।
মঠবাড়িয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালে সিলেটের একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় বাবু তালুকদার ওরফে রাসেলের বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌর শহরের বহেরাতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে পুলিশ। পরে স্বজনরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়ে চালাকি করে রাসেলের নাম বাবু দেখিয়ে দিয়ে শুক্রবার রাতে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে বিষয়টি পুলিশ যাচাই করে বুঝতে পারেন মো. বাবু তালুকদারের নামই রাসেল। পরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের বিয়ের আসর থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এস আই কামরুল ইসলাম আরও জানান, ওই ব্যক্তিকে রাসেল নামে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন দিয়েছেন ওই ব্যাক্তি বাবু। নামে মিল না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, তার ভাগিনা রাসেল সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসে। শুক্রবার তার বিয়ের দিন ধার্য থাকায় আমি মানবিক কারণে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে জানায় তার (রাসেল) বিরুদ্ধ ওয়ারেন্ট আছে। পরে জানতে পারি ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন দেয়ায় আমার ভাগিনাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন তালুকদার জানান, এ ব্যক্তির দুটি নাম তা তার জানা ছিল না।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা নুরুল ইসলাম বাদল জানান, চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নের কারণে নামের বিভ্রাট হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছিলো। তবে আসামি পুলিশের নজরদারিতে ছিল এবং পরে যাচাই করে তাকেই শুক্রবার বিকেলে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন