প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, ইসিতে যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট

সংলাপে রাজি হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

একইসঙ্গে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটটি মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে।

সোমবার বিকেলে মতিঝিলে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সংলাপ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। এতে সাড়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা দলটির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মওদুদ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কবে এই সংলাপ হবে, তা জানালে অবশ্যই আমরা সাড়া দেব।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। আগে তার সঙ্গে সংলাপ করব। এজন্য আগামীকাল মঙ্গলবার আমরা নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি না। বুঝতেই পারছেন, যাওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।’

এ সময় বিএনপির এই নেতা জানান, বিকেলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে আগামী দিনের কর্মপন্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে রায় দেয়া হয়েছে। এটা আইনের পরিপন্থী। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

মওদুদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, সরকার খালেদা জিয়ার জামিনের সব বাধা দূর করে তাকে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করবে।’

পরিবহন ধর্মঘট বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীদের মদদে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করা হয়েছে। আমরা সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছাড়াও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর মান্না, প্রধান সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদুর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।