প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো নরসিংদী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরসিংদীতে আসছেন রবিবার ( ১২ নভেম্বর)। ওই দিন দুপুরেনরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষেনরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। বিভিন্ন জেলা—উপজেলায় আওয়ামী লীগের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। মাইকে করা হচ্ছে প্রচার। শহরের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে তোরণ। ব্যানার—ফেস্টুনে পাল্টে গেছে শহরের চিত্র। বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারি অফিসগুলোতেও দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের সাজসজ্জা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নরসিংদীতে অবস্থান করছেন।
সফরকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যক্তিগত প্রচারে জোর দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি কাড়তে কয়েক কোটি টাকার তোরণ, ব্যানার আর প্যানাফ্লেক্স নির্মাণ করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সমাবেশের কারণে এ জেলার তৃণমূল নেতা—কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে তারা দফায় দফায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি—বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল হক রিমনসংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিভিন্ন উপজেলার ছাত্র—কর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সর্ব শক্তি নিয়োগ করে মাঠে আছে এবং থাকবে।
আগামী ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা নরসিংদীতে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গোটা নরসিংদী শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এখানকার নেতাকর্মীরা। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কয়েক ধরনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনসভার দিন শহরজুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে র্যাবের কয়েক শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম সংবাদকর্মী রুদ্রকে মোবাইল ফোনে জানান, নরসিংদী জেলায় আগামী ১২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসার উপলক্ষেপুন—নির্মাণ কাজগুলি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। পলাশ উপজেলা সার—কারখানা উদ্বোধন করার অপেক্ষায় রয়েছে জেলাবাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলার সার্কিট হাউজে বিশ্রাম করার পর মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য দিবেন।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ১২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তৃণমূল নেতার্মীদেরকে সতর্ক থাকতে এবং যে কোন নাশকতামূলক কার্যক্রম যেন না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারির জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন