প্রশাসনের কড়াকড়িতেও কোন ভাবে থামছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ কোন ভাবেই থামছে না। প্রশাসনের কড়াকড়িতে নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই এবার বাঁশের ভেলায় করে আসছে রোহিঙ্গারা। ৩ দিনে ১ হাজারের বেশী রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে ভেলার মাধ্যমে। আবার অনেকে ছোট নৌকা নিয়ে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার চেষ্টাও করছে। সে সঙ্গে স্থল পথে অনুপ্রবেশ ও অব্যাহত রয়েছে।
রোববারও উখিয়া টেকনাফ আর ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশে করেছে এই সব রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমার থেকে এখনো প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা।মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন না থাকলেও খাদ্য সংকট আর আতঙ্কের জন্য রোহিঙ্গারা আসছে বাংলাদেশে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে আসতে এখনো মিয়ানমারের বিভিন্ন চরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে বলে অনুপ্রবেশ কারীরা জানিয়েছে।
রোববার অনুপ্রবেশ করা মিজান, রহমান আর হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে চরম খাদ্য সংকট চলছে। নৌকা চলাচল বন্ধ থাকলে ও কিছু নৌকা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে আর বেশী টাকা নিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে। আর যাদের টাকা নেই তারা আসছে ভেলায়।
ভেলায় আসা রোহিঙ্গা নুর আহমদ আর কাশেম বলেন, আমাদের টাকা পয়সা নেই, তাই ভেলায় করে এসেছি। প্লাষ্টিকের জার, বাঁশ আর রশি দিয়ে অনেক দিন চরে থেকে এ ভেলা তৈরি করেছি। আমাদের হাতে টাকা নেই তাই আল্লাহর নাম নিয়ে অনেকটা প্রাণ বাঁচাতেই এ ভেলা তৈরি। এখন অনেক ভাল লাগছে নিরাপদে এ দেশে আসতে পেরে।
অনেক রোহিঙ্গা বড় নৌকায় করে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিরাত্তার কারণে নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় রোহিঙ্গারা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে বলে জানিয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত শফিউল আজম বলেন, আমরা সর্তক অবস্থায় রয়েছি গত ২ দিনে পুলিশ ১৮৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে পাঠিয়েছে।
রোহিঙ্গারা যেন ভেলায় না আসে, সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার পাশপাশি এ ব্যাপারে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি আর কোস্টগার্ড এক সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহেদ হোসেন ছিদ্দিক।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ এখন ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সাগর পথ বেচেঁ নেয়ায় বাড়ছে প্রানহানির ঘটনা। গত আড়াই মাসে নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারিয়েছে ১৭৫ রোহিঙ্গা। তার পরও থেমে নেই রোহিঙ্গাদের সাগর পাড়ি দেয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন