প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা
খোলার সিদ্ধান্ত হলে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে যাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা যায়, সেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা’ সব বিদ্যালয়ে পাঠাতে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে অনুরোধ করেছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপের উপর পোস্টার ও লিফলেটের খসড়াসহ একটি প্রস্তাব দিতেও অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কখন বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা যাবে সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সে অনুযায়ী জাতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তার উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ সর্বশেষ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো রয়েছে।
অন্য সব কিছু ধীরে ধীরে খুললেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না বলে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উপযোগী হয়নি।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি বার্ষিকী পরীক্ষা না নেওয়া গেলে অটো পাসের চিন্তা মন্ত্রণালয়ের থাকলেও এর মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ছয়টি মাত্রা যথা- নীতি নির্ধারণ, অর্থ সংস্থান, নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনা, শিখন, সার্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং সুস্থতা/সুরক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করে এই নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পাঁচ পৃষ্ঠার ওই নির্দেশিকার আলোকে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তাও বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হয়েছে।
“স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করতে এবং প্রতিটি শিশুর শিখন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করতে এই নির্দেশিকাটি ক্রমাগত অভিযোজন ও প্রাসঙ্গিকরণ করা প্রয়োজন হবে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ইতোপূর্বে জানিয়েছিলেন, বিদ্যালয় খোলার পর প্রতিদিন ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হবে। শিক্ষার্থীদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, পরতে হবে মাস্ক।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বিদ্যালয়ে একেকটি বেঞ্চে দুজনের বেশি শিক্ষার্থীকে বসানো হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে পরিচ্ছন্ন করাসহ এই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন