প্রিয় বন্ধু জনি ও তার পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্য চাইলেন গণবি শিক্ষার্থীরা
বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিউরো আইসিইউ তে চিকিৎসারত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এ আর জনি আহমেদ ও তার পরিবারের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ব্যয় বহনে সকলের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত ১ জুলাই গণবি শিক্ষার্থী এ আর জনি আহমেদ মানিকগঞ্জ থেকে মা, বাবা, ও বোনসহ প্রাইভেটকারে সাভারে ফেরার পথে ঈগল পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সপরিবারে গুরুতর আহত হন এবং পরে তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রাইভেট কারের চালক এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার শিকার জনির বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেলেও জনিসহ তার বোন ও মা আইসিইউতে চিকিৎসারত আছেন।
বুধবার গণবি আইন বিভাগের প্রভাষক ফারাহ ইকবাল অসুস্থ জনি ও তার পরিবারকে হাসপাতালে দেখতে যান। এসময় তিনি জনিসহ তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা এবং শারীরিক উন্নতির খোঁজখবর নেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ‘অসুস্থ জনি ও তার পরিবারের জীবন বাঁচাতে সুচিকিৎসা ও বিপুল অর্থের প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ রাখতে হবে চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য জনি ও তার পরিবারের চিকিৎসা যেন থেমে না থাকে’। এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলকে একসাথে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
আইসিইউতে চিকিৎসার জন্য জনি ও তার পরিবারের মোট তিন সদস্যের প্রতিদিন প্রায় দেড়লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। জনির পরিবারের সকলেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে আত্মীয়স্বজন ও তার বন্ধু বান্ধব। অর্থের অভাবে মাঝেমাঝেই থমকে যাচ্ছে নিয়মিত ওষুধপত্রের যোগান। দুর্ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় নয় লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। জনির মায়ের অপারেশনের জন্য এই মুহূর্তে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হলেও একই পরিবারের সবাই দুর্ঘটনার বলি হওয়ায় এবং আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় এই চিকিৎসা ব্যয় বহন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে জনির জীবন বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তার সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী সকলেই।দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত ঘাতক ঈগল পরিবহনের মালিকপক্ষ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জারত জনি ও তার পরিবারের কোন খোঁজখবর করেনি এই অভিযোগে এবং চিকিৎসা ব্যয় বহন করে জনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচানোর দাবিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশমাইল থেকে ঈগল পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করে। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশ, সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ বুধবার বিকাল ৫ টায় আশুলিয়া থানায় ব্যাপারটির মধ্যস্থতা হবার কথা রয়েছে বলে জানান গণবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ ।
এদিকে দুর্ঘটনার শিকার জনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান এবং দয়ালু মানুষের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন জনির সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবেরা। প্রিয় বন্ধু জনিকে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে দেখতে চান তারা। কিন্তু চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় এই বিপুল অর্থের যোগান দেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় জানিয়ে গণবি শিক্ষার্থী শেখ মাহ্ফুজা আক্তার বলেন, ‘আমরা সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে জনি ও তার পরিবারের চিকিৎসার জন্য সাহায্য কামনা করছি’। এছাড়াও চিকিৎসারত জনি ও তার পরিবারের সাহায্যে আগ্রহীরা (০১৭২৫-৩৭৫৭৬৪) এবং (০১৭৯৪-৩২০২৮৭) এই দুটি নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন বলেও জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন