প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার পর বালুচাপা দেন স্ত্রী!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বেড়ানোর কথা বলে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য বালুচাপা দিয়েছেন স্ত্রী। পরে স্ত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতের নাম নাঈম হোসেন (২০)। তিনি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও স্ত্রী রেশমি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং স্ত্রী রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা গেছে, নাঈম ও রেশমি গেল প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে রেশমি নাঈমকে নিয়ে বিকালে ঘুরতে বের হন। এরপর রাতে রেশমি বাবার বাড়ি গিয়ে জানান তার স্বামী নাঈম চলে গেছেন। এরপর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গ্রেফতার রেশমির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রেশমি পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এর আগে স্বামী নাঈমকে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এরপর সরিষাবাড়ী সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিয়ে রেশমি বাবার বাড়িতে চলে যায়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। স্বামীকে বেড়ানোর কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায়। পরে তার মরদেহ গুম করার জন্য বালুচাপা দিয়ে দেয়। পরে রেশমিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন