প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে জোর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার লক্ষণীয়। টুথব্রাস থেকে শুরু করে জীবন রক্ষাকারী ঔষধের মোড়কেও প্লাস্টিকের ব্যবহার রয়েছে। বলা যায় আধুনিক জীবনের সাথে প্লাস্টিক জড়িয়ে রয়েছে। দিন দিন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আমাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থাৎ রাসায়নিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা জিনিসকে আবার ব্যবহার উপযোগী করে তোলার উপর জোর দিতে হবে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) তিনি রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ১৫তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে সামগ্রিক প্লাস্টিক রপ্তানী (প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি) ছিল প্রায় ১০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে সামগ্রিক প্লাস্টিক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্প লিংকেজ শিল্প হিসাবে অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। প্লাস্টিক শিল্প খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্লাস্টিক সেক্টরে কমপ্ল্যায়েন্স ফ্যাক্টরী গড়ে তোলার জন্য বিসিক কেমিক্যাল পল্লীতে ৯০ একর জমিতে প্লাস্টিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে এবং তারই পার্শ্বে ১৫৫ একর জমিতে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিক পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার ও শপিং ব্যাগ, খেলনা (স্বল্প পরিসরে) সামগ্রী রপ্তানী হচ্ছে। রপ্তানীর জন্য এ খাতে সংযোজিত হতে পারে প্লাস্টিক টয়েজ ও ক্রোকারিজ আইটেম। রপ্তানী বৃদ্ধিতে সরকারের নীতিগত সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। তিনি অত্র সেক্টরের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে পণ্য বহুমুখীকরনের মাধ্যমে নতুন নতুন উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মনসুরুল আলাম, বাংলাদেশে UNIDO এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্ট্রেটিভ জাকি উজ জামান, ইয়র্কার্স ট্রেড এন্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোং লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মিজ. জুডি ওয়াং (Ms Judy Wang) প্রমূখ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এর উদ্যোগে ৪ (চার) দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন