ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে অব্যাহতি
সামাজিক নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্কে চলমান বিক্ষোভের ফলে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দেশটির মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হয়েছে।
দেশটির ১৭তম প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও অবরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ খবর জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা ওয়াফা।
এদিকে এক বিবৃতিতে সোমবার আব্বাস বলেন, আইনে বিতর্কিত অংশগুলোতে সংলাপ চলতে থাকবে। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে অংশগ্রহণ করবে, যা অবসরকালীন অর্থের জোগান দেবে।
আইনের সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বাধ্যতামূলক সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে সাত শতাংশের কর ইসরাইলি দখলে থাকা ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে দেশটির প্রত্যেক পরিবারকে শেষ করতে ভূমিকা রাখবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি মাসে ৪০০ ডলার।
এ আইন বিরোধী কমিটির একজন মোহাম্মদ জিয়াইয়ার জানিয়েছেন, যদি সরকার সামাজিক নিরাপত্তা আইন জোর দিতে চায়, তাহলে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়াতে হবে। তিনিও অবরোধকারীদের একজন। নতুন করের প্রতিবাদে গত জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে তাদের দোকান বন্ধ রেখেছিল।
গত সপ্তাহে মোহাম্মদ তামরাম বলেন, ফিলিস্তিনিতে সর্বনিম্ন মজুরি তবে বেঁচে থাকার খরচ অনেক বেশি। আমরা কীভাবে সামাজিক নিরাপত্তার চিন্তা করতে পারি, যেখানে আমরা টেবিলে খাবার রাখার চেষ্টা করি?
এ আইনটিতে ২০১৬ সালে মাহমুদ আব্বাস স্বাক্ষর করেছিলেন। যার ফলাফল গত মাসে একটি কোম্পানির ২০০ শ্রমিকের ওপর পড়েছিল। আইন অনুযায়ী তারা নিবন্ধিত হতে হয়েছিল সামাজিক নিরাপত্তা আইনের অধীনে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা কিছু সমালোচকদের উদ্বেগ জানানোর পর আইন পরিবর্তন করতে অঙ্গীকার করেছিল। মাজেদ আল-হ্যালো যিনি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে আইনটি চালুর আগে বড় পরিবর্তন দরকার ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন