ফের কুবি বাসে দুর্বৃত্তদের হামলা, চালকসহ আহত ২
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহন করা বিআরটিসির ভাড়া করা বাসে ফের দৃর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সহাসড়কে অবরোধ চলছিল।
বাসে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ এবং বাসটির চালক আলাউদ্দিন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস কুমিল্লা শহরের ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গেটে আসলে হঠাৎ সামনের দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল বাসের গতিরোধ করে।
এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা ২ থেকে ৩ জন বাস ড্রাইভার আলাউদ্দিনের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে বাস থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করতে থাকে।
তখন চালককে মারধরের কারণ জানতে চান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ। পরে তারা দ্বীন মোহাম্মদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারধর শুরু করে।
এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশে থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও চাপাতি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং ফের এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।
এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাতে থাকা ফোন কেড়ে নেয় এবং ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করে দেয়। পরে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা বাসটি আটকে রাখে।
এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য আশিকের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়।
তবে হামলার ঘটনা আশিক অস্বীকার করে বলেন, আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঝগড়া হলে তারা মারধর করেছে। তখন ঘটনা শুনে আমি সেখানে যাই এবং থামানোর চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন, আমি ঘটনা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী মামলা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত ১৩ মে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে কোন কারণ ছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসও ভাংচুর করা হয়। এর কোন প্রতিকার এখনও পর্যন্ত পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। সূত্র : যুগান্তর
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন