ফের মা হলো মুক্তি রানী

একাত্তর সালে জন্ম বান্দরবানে। তাই ওর নাম মুক্তি রানী। সেখানেই বড় হওয়া। এখন বসতি গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। মুক্তি পার্কের হাতিশালের রানি। ৪৬ বছর বয়সী মুক্তির কোলে নতুন আলো ছড়িয়েছে। এসেছে নতুন সন্তান। ২০১৩ সালে এই পার্ক উদ্বোধনের পর এটাই প্রথম হাতির শাবক জন্মের ঘটনা।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তি রানী আরেক সন্তান জন্ম দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক শামসুল আজম এ কথা জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাফারি পার্কের হাতিশালে নবজাতককে নিয়ে মোট হাতির সংখ্যা এখন ৭। তবে নতুন হাতিটি ছেলে না মেয়ে, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মুক্তিকে পরিচর্যাকারী মাহুতের ভাষ্য, এর আগেও মুক্তি রানী সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসেন খান বলেন, পার্কের জঙ্গলে সন্তানকে জন্ম দিয়েছে মুক্তি রানী। জন্ম নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই শাবকটি হাঁটা শুরু করেছে। এখনো দর্শনার্থীদের সামনে আনা হয়নি। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গেছে, জন্ম নেওয়ার পর থেকে শাবকটি মায়ের সঙ্গে গা লেপ্টে রয়েছে। মা যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই পিছু নিচ্ছে। সুযোগ পেলেই মায়ের দুধ পান করছে। হাতিশালের পাশে জঙ্গলে আলাদা বসতজায়গা করে আপাতত মা ও শাবককে রাখা হয়েছে। গর্ভধারণের প্রায় ১৮ মাস পর মুক্তি রানী তার বাচ্চাটিকে জন্ম দিয়েছে।

শাবকটিকে মাস তিনেক দর্শনার্থীদের সামনে আনা উচিত হবে না বলে জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান। তিনি বলেন, হাতিশালে পুরোনো হাতি থাকলে বসবাসে অসুবিধা নেই। তবে বাইরে থেকে নতুন হাতি আনা উচিত হবে না। আপাতত শাবকটি মায়ের দুধই শুধু খাবে। আস্তে আস্তে নিজেই ওর খাবার বেছে নেবে। তবে চার বছর বয়স পর্যন্ত অন্য খাবারের পাশাপাশি একটি বাচ্চা হাতি ওর মায়ের দুধ পান করবে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চার বছর পর হাতি সাধারণত আবারও গর্ভধারণ করে।