ফেসবুকে অশ্লীলতার ছড়াছড়িতে শীর্ষে বাংলাদেশি এই দুই মডেল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক একটি। ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট ছাড়া কোন টিন এজার হয়তো খুঁজ্ পাওয়া যাবে না। শুধু টিন এজার নয়। তরুণ থেকে শুরু করে যুবক কিংবা বৃদ্ধ সবার আনাগোনা ফেসবুকে। পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষার্থে অতুলনীয় এই ফেসবুকের ভূমিকা। সামাজিক নানা উন্নয়নমূলক কাজেও ফেসবুক বিভিন্ন উপকারে আসে। এছাড়াও তারকাদের নতুন নতুন কাজের আপডেট খবর পেতে আজকাল ফেসবুকই এখন আসল ভরসা। তারকারাও ফেসবুক নীর্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তবে কিছু অশ্লীল মডেল ফেসবুককে পুঁজি করে অশ্লীলতার রাজ্য তৈরি করে ফেলেছেন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। তবে কেউ কেউ অশ্লীলতার জন্য বিতর্কিতও হয়েছেন বটে। বিতর্কিত হলে কী হবে তারপরেও কোনোভাবেই থামছে না তাদের অশ্লীলতার আগ্রাসন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য মডেল হলেন রেশমি এলোন ও নায়লা নাঈম।
দু’জনের মধ্যে রেশমি এলোন মডেলের অশ্লীলতার মাত্রাটা মাত্রাতিরিক্ত। রেশমি এলোনের ফেসবুক পেজে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায় তার নগ্নতা ও অশ্লীলতা। প্রতিনিয়ত অশালীন পোশাকে ফেসবুক লাইভে আসা, অশ্লীল ছবি পোস্ট থেকে শুরু করে অকথ্য নোংরা ভাষায় ছবিগুলোর ক্যাপশন লেখা যেন এখন তার নিয়মিত কাজ। কিছু নিন্মমানের গানের মডেলিং করেছেন। তবে সে সব গুলোকে অশ্লীলতার ভিন্ন রূপও বলা চলে। কিছু দিন আগে ফেসবুকে এক লোকের সঙ্গে একটি সেলফি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, এই লোকের সঙ্গে আমার সেক্স ভিডিও দেখতে পাবেন শিগগিরই।
রেশমি এলোনের নোংরামি যে তার ভক্তরাও পছন্দ করছেন, তা কিন্তু না। অধিকাংশ কমেন্টের বক্স চেক করলে দেখা যায় ভক্তদের বিরূপ মন্তব্য। কেউ কেউ আবার অশালীন ভাষা ব্যবহার করে গালিগালাজও করেন।
অন্যদিকে ফেসবুকের পেজকে যেন নায়লা নাঈম খারাপ বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি নিয়মিত তিনি বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছেন। যদিও সেগুলো তার ভিডিও না। কিন্তু ছবি ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে তিনিও রেশমি এলোনের থেকে কম না। অশালীন পোশাকেই যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কয়েক মাস আগে তিনি একটি সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনে কাজ করে নায়লা নাঈম বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজও করেছেন নায়লা নাঈম। তবে সেসব মিউজিক ভিডিওগুলোতে অশালীনতাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন নায়লা নাঈম।
রেশমি এলোন কিংবা নায়লা নাঈম তাদের আবির্ভাবের পর থেকেই বিতর্কের যেনো কোন শেষ নেই। অপরদিকে তারাও কেউ থেমে নেই। তারা হয়তো মনে করেন, বিতর্কই যেন আলোচনায় চলে আসার প্রথম ধাপ। দর্শক কিংবা সমালোচক কারও কাছ থেকেই তাদের জন্য দু’বাক্য প্রশংসা মিললেও তাদের বলা হয় অশ্লীলতা স্বর্বস্ব মডেল তাদের ফেসবুক পেজ বা এ্যাকাউন্টকে বলা হচ্ছে অশ্লীলতার রাজ্য!
রেশমি এলোন ও নায়লা নাঈমদের মতো মডেলদের জন্য তরুণ প্রজন্মের ওপর দিন দিন বেড়ে চলছে বিরূপ প্রভাব। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা নোংরামী, অশ্লীলতা দেখে ভুল পথে অনুপ্রাণিত হবে। সামাজিক মাধ্যমে এমন নোংরামি বন্ধ যেন এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ফেসবুক ব্যবহারের একটি নীতিমালা কিংবা সুষ্ঠু কাঠামো। যেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন অশালীনতা না থেকে সামাজিকতা বজায় থাকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন