বগুড়ার মহাস্থান হাটে মৌসুমী সবজির বাজার নিম্নমুখী
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে সবজির বাজারের দাম নিম্নমুখী, মৌসুমি শাক-সবজির সরবরাহ বাড়া কারণে প্রায় সব ধরণের শাক-সবজিতে দাম কমেছে।
মঙ্গলবার বগুড়ার পাওয়ার হাউজ হিসেবে খ্যাত ঐতিহাসিক মহাস্থান কাঁচা বাজার ঘুড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে স্বাভাবিক ভাবে পা ফেলার ফুরসত নেই, ক্রেতা বিক্রেতায় মুখরিত ছিলো এ হাট। যা সকাল ৭টায় শুরু হয়ে ১১টা পর্যন্ত চলে, বাকী সময়ে চলে ঢাকাসহ সারা দেশে সবজি পাঠানোর কাজ।
এ হাটে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ, গাবতলী, সোনাতলা ও বগুড়া সদর উপজেলার সবজি চাষিরা এ হাটে তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসে।
এ হাটের বাবলু মিয়া, সাজু, টুটুল ও শাহাদাত এর কাঁচা বাজারের আড়ত গেলে প্রতিয়মান হয় যে, মূলা প্রতি মণ ৮’শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১হাজার থেকে ১২’শ টাকা মণ।
চলতি সপ্তাহে লাল বরবটি ৩৩-৩৪ টাকা পিচ বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৮-৪০টাকা। লম্বা বরবটি ৬০-৭০টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে যা গত সপ্তাহেও একই ছিলো।
চলতি সপ্তাহে পাতা কপি ২৬-২৮ টাকা পিচ, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০টাকা পিচ। আর ফুল কপি প্রতি মণ ১২’শ থেকে ১৪’শ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১৬’শ থেকে ২হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মিষ্টি লাউ প্রতি মণ ১২’শ থেকে ১৪’শ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৪’শ থেকে ১৫”শ টাকা মণ।
রঙ্গিলা জাতের বেগুন ১২’শ থেকে ১৪’শ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৬’টাকা মণ। এছাড়াও চলতি সপ্তাহে মেন্টাল জাতের বেগুন ২হাজার থেকে ২২’শ টাকা এবং থাউলো বেগুন ২৬’শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে পাতা পিঁয়াজ ১৬’শ থেকে ২হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিলো প্রায় ৩হাজার টাকা মণ।
চলতি সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২হাজার থেকে ২২’শ টাকা মণে বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিলো ২৫’শ টাকা মণ।
দেশি জাতের শিম গত সপ্তাহে ৩হাজার থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ২৮’শ থেকে ৩হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গাঁজর চলতি সপ্তাহে ২৪’শ থেকে ২৮’শ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিলো ৩হাজার টাকা মণ। এহাটে পেঁয়াজের ফুল নতুন করে আদমাদী হয়েছে যা ১১০-১২০টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গরিবপুর গ্রামের কৃষক শিপন বলেন, আমি এ হাটে ১০মণ ফুল কপি বিক্রি করেছি ১৩’শ টাকা মণে। এখন বাজার স্বাভাবিক আছে। এর চেয়ে দাম কমে গেলে আমাদের লোকসান হবে।
মহাস্থান কাচা বাজারের আড়তদার সাজু এ প্রতিবেদককে বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দাম অনেকটা কমেছে। আগামী সপ্তাহে আরও কমে আসবে।
এবিষয়ে আর এক আড়তদার শাহাদত বলেন, আমাদের মহাস্থান কাচা বাজার ছোট বড় ২০/২৫টি আড়ত আছে। আমাদের আড়তের সবজি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে মহাস্থান হাটে গড়ে ৫কোটি থেকে ৬কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গতঃ মহাস্থান কাঁচা বাজার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি মহাস্থান শাহ্ সুলতান বলখীর মাজারের উত্তর প্রান্তে রংপুর রোডের সাথে অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাজার বসে। এছাড়াও সপ্তাহে দুইদিন (রবিবার ও বুধবার) হাট বসে। গরু -ছাগল বিক্রয় হয়। এটি শিবগঞ্জ উপজেলার সুপ্রাচীন ও বিখ্যাত হাট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন