বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তি সাহার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর ১২ঘটিকায় অত্র বিদ্যালয়ের মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষক লক্ষী রানি বলেন,
আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভালো মানুষ। সে কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারেননা এবং আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি যে সহকারী প্রধান একেএম রফিকুল ইসলাম দুর্নীতি করেননি ভবিষ্যতেও করবে না। দুর্নীতিবাজ পীযূস কান্তির সাথে থাকতে থাকতে আমরা লজ্জিত। আমরা এমন ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তি সাহা সহকারী প্রধান শিক্ষক এ কে এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি কর্মকান্ডে সাপোর্ট না করার কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালান। প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তির এমন কার্যকলাপে তার অপসারণ দাবি করেন শিক্ষার্থী শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এসময় সহকারী শিক্ষক জাহেদ আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তি স্কুলে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতির সৃষ্টি করেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নানা জালিয়াতি করেছেন। তিনি ঠিকমতো স্কুলেই আসেন না। টানা কয়েকদিন স্কুলে অনুপস্থিত থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিন চারদিনের স্বাক্ষর একদিনেই করেন। তাও আবার রাতের বেলা স্কুলে এসে এই স্বাক্ষর করেন।
সহকারী শিক্ষক রাসেল মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তি আমার নিয়োগের সময় অত্যান্ত জঘন্য আচরণ করেছে। সেই সময় আমার কাছ থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকার দাবি করেন, যা আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। আমার টাকা দেয়ার সক্ষমতা না থাকার কথা বললে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। আর তিনি অফিস করেন সরকারি বন্ধের দিনে শুক্রবার আর শনিবারে। এমন দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী শিক্ষক দুলালুর রহমান দুলাল বলেন, প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তি আমাদের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ কে এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার মানহানির চেষ্টা করছেন। প্রধান শিক্ষকের এই আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বরং প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তির বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এর আগে আমরা সকল শিক্ষক মিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা দ্রুত প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তির অপসারণ দাবি করছি।
অফিস সহকারী জয় চক্রবর্তী বলেন, প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তির অপসারণের দাবিতে আজকের এই মানববন্ধনে সবার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি তার অপসারণ দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক পিযুস কান্তির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন