বগুড়ার শিবগঞ্জে ভূমিখেকোদের দৌরাত্মে বিলিন হচ্ছে কৃষি জমি

বগুড়ার শিবগঞ্জে ভূমিখেকোদের দৌরাত্মে বিলিন হচ্ছে কৃষি জমি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হলেও প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চলে মাটির টপ সোয়েল কাটার অবৈধ ব্যবসা।

এমন ঘটনা ঘটেছে ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) শিবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ মাঝপাড়া গ্রামে।

এ ঘটনায় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ মাঝপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মেহেদুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেহেদুল ইসলামের ০.৪০ একর জমি দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণ ভাবে দখল করে ভোগ আসছে। তার পাশের জমির মালিক বিবাদী মর্তুজা আলম হেলুট অসৎ উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে ২০ থেকে ২৫ ফুট গভীর করে মাটি খনন করে নিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মেহেদুল ও পার্শ্ববর্তী জমির কৃষকরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমির টপ সোয়েল এমন করে কেটে বিক্রি করলে আমাদের জমি গুলো বিলিন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক মেহেদুল ইসলাম বলেন, তিন ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটায় মাটি দেওয়ার কারণে আমাদের পার্শ্ববর্তী জমিগুলো কৃষি কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গভীর রাতে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করে নিয়ে যাচ্ছে মাটিখেকোরা। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমরা সাধারণ কৃষকরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারি না। আমি সহ পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এমনকি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

পার্শ্ববর্তী জমির কৃষকরা বলেন, আমরা গরীব মানুষ বরো-আমন ও আলু চাষ করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি, এই জমি থেকেই পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেই। এই জমি আমাদের শেষ ভরসা। সেখানে যদি পুকুর সমান গর্ত হয়ে যায় তাহলে আমরা চাষবাদ করবো কোথায়। আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

মুঠোফোনে বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি তাসনিমুজ্জামান জানান, এবিষয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে কাজ না হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।