বগুড়ার শিবগঞ্জে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে জায়গা ভরাটের অভিযোগ!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূলে জায়গা ভরাটের পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে আটমূল বন্দর ও হাইস্কুলের পানি নিষ্কাশন নিয়ে দেখা দিয়েছে ধ্রæমজাল।

এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ রবিউল আউয়াল প্রতিকার চেয়ে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ থানাধীন আটমূল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ৫৮৫০, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৬ ও ৫৭৯৮ দাগে এবং ১/১ খতিয়ানের জায়গা অবৈধ ভাবে মৃত: মমতাজ উদ্দিন ছেলে আনিছুর রহমান সহ তার ভায়েরা ভরাট করে নেয়। ভরাটকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় উক্ত স্থানে বসত বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ী ভাবে ড্রেন বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অভিযোগকারী রবিউল আউয়াল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আনিছুর রহমানের সাথে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সে এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি।তাই প্রতিকার পেতে এলাকাবাসীর পক্ষে অবিযোগ দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমানের ভাই কামরুল ও রায়হান বলেন, গত ২৬ বছর যাবৎ আমরা জায়গাটি ভোগদখল করে আসছি। এ জায়গা দিয়ে কোন পানি নিষ্কাশন হয় না। প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এমন অভিযোগ করেছে। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলছে। আমরা বাড়ি নির্মাণ বন্ধ রেখেছি।

এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, আনিছুর গংরা পুকুর ভরাটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে আটমূল ইউনিয়নের তশিলদার প্রিন্স বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরেজমিনে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। জায়গাটি সরকারের নামে রেকর্ড থাকায় বাড়ি নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের কোন অস্থিত পাওয়া যায়নি।

আটমূল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগটি সত্য পানি নিষ্কাশন বন্ধের কারণে উক্ত অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে। তারা পুকুর ও ধানী জমি ভরাট করে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তহশিলদারকে পাঠিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।