বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল যন্ত্র বিকলের জেরে ২৫ কিলোমিটার যানজট!

মহাসড়কের ভিড় ঠেলে সামনে এগুতে পারলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর সামনে এসে থমকে দাড়িয়েছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীবাহী বাসগুলো।

মাত্র আধা ঘণ্টা সময়ের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় যন্ত্র বিকল থাকায় ২৫কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে পড়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

যাত্রীদের অভিযোগ,আগের বছরগুলোতে মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকত। কিন্তু এখন মহাসড়কে খুব একটা সময় বসে থাকতে হয় না। অথচ বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় টোল প্লাজায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাশের টোল আদায় যন্ত্র বিকল ছিল।

এতে রাবনা শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে যানজটের লাইন এলেঙ্গা ছাড়িয়ে যায়। তবে টোল আদায় শুরু হলে দুপুর সাড়ে ১২টায় যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্তত ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করছে।

এ মহাসড়কের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রতিবছরই ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঈদে মুখোমানুষকে।

এবার বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে মানুষ ঘরে ফিরছে। তবে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রচণ্ড গাড়ির চাপের কারণে কয়েক জায়গায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করেছে।

মহাসড়কে মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং থেকে গাজিপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

এছাড়া গোড়াই, মির্জাপুর, পাকুল্লা, নাটিয়া পাড়া, করটিয়া, টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা-আশেকপুর, এলেঙ্গায় বাসস্ট্যান্ড ও লিংক রোড থাকায় মাঝে মধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ককে ছয়টি ভাগে বিভক্ত করে আট শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৫টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে।