বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দিবেন না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য বছরের পর বছর কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেরেছেন দেশকে স্বাধীন করতে। বেলুচিস্তান বা কাশ্মির এখনো স্বাধীনতা পায়নি। বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। কাজেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে দেশে যে ভাস্কর্য হবে তা নির্মাণে কোনো বাধা দিতে আসবেন না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এদেশের মাটিতে হবেই।’

রবিবার মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত ৬-৮ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অন্যান্য বছর ব্যাপক পরিসরে পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন করা হলেও এবছর কোভিডের কারণে কিছুটা সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। তবে কোভিডের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কোন ঘাটতি হতে দেয়া হয়নি। দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। ভ্যাকসিন আনার কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।

এন্টিজেন টেস্ট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘গতকাল অনলাইন জুমের মাধ্যমে অংশ নিয়ে দেশের ১০ জেলায় একযোগে এন্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫-৩০ মিনিটেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এর ফলে দেশে কোভিড পরীক্ষার আরেকটি নতুন ধাপ সংযোজিত হয়েছে। মানুষ এখন সচেতন হলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো সহজ হবে।’

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০০ শয্যাবিশিষ্ট লালকুঠি, মিরপুর মাতৃ ও শিশুশিক্ষা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুল গাছের চারা রোপণ করেন।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ৮টি বিভাগে, ৬৪ জেলা, ৪৮৮টি উপজেলার ৬০টি মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ৪০০৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অর্থাৎ মোট ৪৬৮২টি সেবাকেন্দ্র থেকে একযোগে পালিত হচ্ছে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০’।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আসলামুল হক, নীপোর্ট এর মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক আইএমই ইউনিটের পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।