বদলে যাচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম
বিশ্ব মহামারীর কারণে বদলে গেছে ২০২০ সালের অনেক কিছু। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গন তথা ক্রিকেটও। গত মার্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অসংখ্য সিরিজ, টুর্নামেন্ট স্থগিত কিংবা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা। যার অন্তভুক্ত রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরও।
যে কারণে এখন সময় হারিয়ে নিয়ম বদলাতে বাধ্য হচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব দলের ছয় সিরিজ শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে দুই ফাইনালিস্ট দল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সময়ের মধ্যে সব দলের ছয় সিরিজ আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব বলা চলে।
তাই এখন পয়েন্টের বদলে পয়েন্টের হার শতাংশ হিসেব করে বাছাই করা ফাইনালিস্ট দুই দল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো যে কয়টি সিরিজ খেলতে পারবে, সেসব সিরিজে পাওয়া পয়েন্টের শতাংশের হিসেবে ঠিক করা হবে দুই ফাইনালিস্ট দল।
তবে এ নিয়মটি এখনও প্রস্তাবনা পর্যায়ে রয়েছে। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি সম্ভাব্য সেরা সমাধান হিসেবে এ পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই আইসিসির চিফ এক্সিকিউটি কমিটির সভায় এ নিয়মের ব্যাপারে আলোচনা-পর্যালোচনার পর নেয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সোমবার শুরু হবে এই সভা।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। যেসব সিরিজ স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর পয়েন্ট দুই দলকে সমান ভাগ করে দেয়ার আলোচনাও করেছিল ক্রিকেট কমিটি। কিন্তু এটি ধোপে টেকেনি। তাই এখন সম্ভাব্য সেরা সিদ্ধান্ত হিসেবেই মূলত পয়েন্টের শতকরা হিসেবের দিকে জোর দেয়া হয়েছে।
এই নিয়মের ফলে এখন যারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। আবার যারা করোনার কারণে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেনি তারাও সামনের সিরিজগুলো খেলে পয়েন্টের হার বাড়িয়ে নিতে পারবে। মূলত এ কারণেই নতুন এই প্রস্তাবনাটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আগামী জুনে হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে এখনও পর্যন্ত পয়েন্টের হিসেবে এগিয়ে রয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ভারতের রয়েছে ৩৬০ ও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৯৬ পয়েন্ট। এছাড়া ইংল্যান্ডের রয়েছে ২৯২ পয়েন্ট। তবে নতুন নিয়ম বাস্তবায়িত হলে সম্ভাবনা বেড়ে যাবে নিউজিল্যান্ডের।
পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুই সিরিজ থেকে তারা যদি পূর্ণ ২৪০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারে, তাহলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে ৪২০ এবং পয়েন্টের হার দাঁড়াবে ৭০ শতাংশ। যা তাদেরকে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে দেবে, তবে ভারতের চেয়ে খানিক পিছিয়েই রাখবে।
তখন আবার বিবেচনায় আসবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। সেখানে যত বেশি পয়েন্ট খোয়াবে ভারত, ততই লাভ হবে নিউজিল্যান্ডের। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টের হার ৮২.২২ শতাংস এবং ভারতের ৭৫ শতাংশ। ফলে আসন্ন সিরিজটি দুই দলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন