বন্যার পানিতে ডুবে ৯ দিনে ৯৯ শিশুর মৃত্যু
বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু কমছে না। প্রতিদিনই শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গত ৯ দিনে ৯৯ শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এতে করে সেখানকার পরিবারগুলোতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুদের মৃত্যু ঠেকাতে বাবা-মায়েরা ঘরে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। তারা শিশুর কোমড়ে ঝুনঝুনি ও পায়ে নুপুর পড়িয়ে রাখছেন। তারপরও পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। অপরদিকে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে আরেক আতঙ্কের নাম সাপে কাটা। সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশের ১৫ জেলায় পানিতে ডুবে মোট ১০২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৪ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৯ দিনে ৯৯ শিশুর মৃত্যু হয়। পানিতে ডুবে মোট মৃতের প্রায় এক তৃতীয়াংশেরও বেশি অর্থাৎ সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২টি শিশু জামালপুর জেলায় মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি আগস্ট মাসের ৩, ৪ ও ৬ আগস্ট পানিতে ডুবে একটি করে শিশু মারা যায়। এছাড়া গত ১৪ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে প্রতিদিন যথাক্রমে ১২, ৯, ৮, ১৭, ৯, ১১, ৭, ১৪, ৬ ও ৬ শিশুর মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানিতে ডুবে মোট ১০২ মৃত শিশুর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩টি শিশু, গাইবান্ধায় ১১, জামালপুর ২২, কুড়িগ্রাম ৮, লালমনিরহাট ৯, নওগায় ৬, নেত্রকোনায় ৩, নীলফামারীতে ৬, পঞ্চগড়ে ১, রাজবাড়ীতে ১, রংপুরে ৪, শেরপুরে ৩, সিরাজগঞ্জে ১০, সুনামগঞ্জে ৩ ও টাঙ্গাইল জেলায় ২টি শিশু মারা যায়।
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে আরেক আতঙ্কের নাম সাপে কাটা। চলতি মাসে সাপের কামড়ে ৩২ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বগুড়ায় ১ জন, দিনাজপুরে ১, হবিগঞ্জে ১, কুড়িগ্রামে ১, মানিকগঞ্জে ৩, নওগাঁয় ১, রংপুরে ১ ও সিরাজগঞ্জে ১ জন মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস সেন্টার ও হেলথ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, পানিতে ডুবে মোট ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে সিংহভাগ শিশু তবে সবাই শিশু কি না সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন