বর্ষার দিনের ভেজা জামাকাপড় ঘরে রাখবেন না, রাখলেই বিপদ
বর্ষায় এমনিতেও হাজারো ভোগান্তি। তারমধ্যে যদি ভেজা জামাকাপড় ঘরে মিলতে হয় তাহলে বিপদ বাড়ছে আরও কয়েকগুণ। তবু বর্ষার দিনের ভেজা জামাকাপড় ঘরে রাখবেন না। কারণ স্যাঁতস্যাঁত ঘরই রোগের আতুঁরঘর। সর্দি-কাশি-হাঁপানির মতো ক্রনিক রোগের ডিপো।
শহুরে জীবনে বেশিরভাগই এখন ফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দা। ভাড়া বাড়িতে থাকলেও অনেকক্ষেত্রেই ছাদের মালিকানা থাকে গৃহকর্তারই। তাই জামা কাপড় কাচার পর তা ঘরেই শুকোতে বাধ্য হন গৃহিনীরা। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে বিপদ।
১) ত্বকের রোগ
ঘরে ভিজে কাপড় শুকোলে ঘরের আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মহানন্দে বেড়ে ওঠে নানা ধরণের ছত্রাক, যা ত্বকের ওপর হামলা চালায়। দেখা দেয় দাদ, চুলকানি, একজিমার মতো বিভিন্ন সংক্রামক রোগ।
২) এলার্জি
স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে জন্ম নেয় এক ধরণের ছত্রাক। যা থেকে শরীরে নানারকমের এলার্জি হতে পারে।
৩) সর্দি-কাশি-হাঁপানি
আর্দ্র, জোলো পরিবেশ শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ক্রনিক সর্দি, কাশির শিকার হতে হয় রোগীকে
৪) শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা
স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ থেকে জন্ম নেওয়া ব্যাকটেরিয়া হামলা চালায় শ্বাসনালীতে। দেখা দেয় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা।
৫) হাঁপানি
দীর্ঘদিন ধরে ড্যাম্প ঘরে থাকলে ক্রনিক অ্যাজমার শিকার হতে পারেন আপনি
তাই বর্ষায় ঘরে ভিজে জামাকাপড় শুকোতে দেবেন না। কষ্ট করে বাইরে মেলুন। কারণ চিকিত্সকরা বলেন, স্যাঁতস্যাঁত ঘর মাত্রই রোগের আঁতুরঘর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন