বসন্তের ছোঁয়ায় দৃষ্টি কাড়ঁছে সুনামঞ্জের শিমুল বাগান
১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবস। জীবনের অনেক স্মৃতিই ধরে রাখতে চান অনেকেই। আনন্দ উল্লাস সব কিছুই একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাই অনেকেই শিমুল-পলাশ-অশোকের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পশরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি ঋতুরাজ বসন্ত এলো আবার।
১৪ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) পয়লা পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের প্রথম দিন। কবি লিখেছেন, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। /তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/করো না বিড়ম্বিত তারে। এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বসন্ত উপলব্ধি করেছেন এভাবে- ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক/আজ বসন্ত। হ্যাঁ, গাছের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পশরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি।
বসন্ত মানেই নতুন সাজে প্রকৃতি মুখরিত হওয়ার দিন। ফুল ফোটার পুলকিত সময়। শীতের জরাগ্রস্ততা কাটিয়ে নতুন পাতায় ঋদ্ধ হয়ে উঠবে রুক্ষ প্রকৃতি। ফাগুনের ঝিরঝিরে বাতাসে কোকিলের মিষ্টি কলতানে উন্মাতাল হবে গ্রকৃতি। ফুলেল বসন্ত যৌবনের উদ্দামতা বয়ে আনে। আনন্দ আর উচ্ছ্বসমুখরতায় মন-প্রাণ ভরিয়ে তোলে। নতুন প্রকৃতির মতোই উজ্জ্বল সাজে সজ্জিত হয়ে পথে নামে পূরবাসী নর-নারী। খুলে যেতে চায় মনের বন্ধ দুয়ার। হৃদয়ের না বলা কথাটি প্রিয়তম কোনোজনের কাছে মধুর স্বরে বলতে আকুল হয়ে ওঠে চিত্ত। হৃদয়ের একূল ওকূল দুকূল ভাসানো আবেগের প্লাবনে ঘুচে যায় দ্বিধা-সংকোচ। অনুভূতি পেয়ে যায় তার প্রকাশের ভাষা। বসন্ত তাই ভালোবাসার ঋতু বলেও সমাদও পেয়েছে বাঙালির কাছে।
এই ইটপাথরের কৃত্রিম নগরে বসন্তের লাবণ্যময় স্পর্শ কী লাগে কোথাও? নিসর্গে বসন্তের বর্ণচ্ছটা শহরে তেমন সুলভ নয়। তবে মানবহৃদয় বসন্তের প্রভাব এড়াতে পারে না বলেই হয়তো আজ এই যান্ত্রিক নগরেও দেখা যায় নাগরিকদেও বেশভূষায়, উৎসব আয়োজনে ঋতুরাজের আগমনী-উচ্ছ্ববাস। এ দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি।
আর ভ্রমন প্রেমিরা ছুঁটে গেছেন সুনামগঞ্জে তাহিরপুরে ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলো পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। পর্যটকের ভিড়েই সুন্দর্য ফুঁটে উঠছে শিমুল বাগানের দ্বিগুন সুন্দর্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন