বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে জি-২০ দেশসমূহের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলনে সাইড লাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতে ভারতের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের অর্থমন্ত্রী বিশদ আলোচনা করেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ভারতের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি নাম মুক্তিযুদ্ধের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ইতিহাসের, ভাষার, সংস্কৃতির, মনমানসিকতার গভীর সমন্বয়। রয়েছে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সমৃদ্ধ ইতিহাস।
জি-২০ জোটে বাংলাদেশ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ‘গেস্ট কান্ট্রি’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে আয়োজক দেশ ভারত বাংলাদেশকে ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসাবে আমন্ত্রণ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে ততই দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে। তিনি দুই দেশের অর্থনৈতিক এলাকায় সহযোগিতা বাড়াবার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন