বাংলাদেশ বিমান ছিনতাই চেষ্টা মামলার তদন্ত শুরু

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাংলাদেশি বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে ন্যস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন সংস্থাটির (সিএমপি ইউনিট) পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

বিষয়টি সাংবাদিদকের নিশ্চিত করেছেন ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিহত পলাশ আহমেদসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

এজাহারে পলাশের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, উক্ত আসামি তাহার সহযোগী অপরাপর অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় উক্ত অপরাধ (বিমান ছিনতাই) সংঘটনের চেষ্টা করিয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে অজ্ঞাতনামা এই আসামিদের ভূমিকার বিষয়ে এজাহারে আর কিছু বলা হয়নি।

আসামিদের অপরাধের বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, পলাশ আহমেদ বিমানের পাইলট, কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের হুমকি দিয়া জিম্মি করত আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়া বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।

উল্লেখ্য, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি অস্ত্রধারী পলাশ নামে এক যুবক ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়।