বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে ইবিতে শতাধিক শিক্ষকের মানববন্ধন
পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন শুরু হয়।
এসময় ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন সহ শতাধিক শিক্ষক।
মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের বর্তমানে যে পেনশন স্কিম চালু আছে সেখানে একজন শিক্ষক রিটায়ারমেন্ট এর পর যে পরিমাণ অর্থ পাই, প্রত্যয় স্কিম চালু হলে তার চেয়ে অনধিক এক কোটি টাকা কম পাবে। বর্তমানে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্টের বয়স ৬৫ বছর, কিন্তু প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে এই বয়স ৬০ বছর।
এছাড়াও প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে একজন শিক্ষক মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু নেই। এমনই নানা রকম অসঙ্গতি রয়েছে এই সিস্টেমে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত যে কর্মসূচি তা যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র, জাতি নিধনের যে ষড়যন্ত্র, প্রশাসনের অন্তরালে ঘাপটি মেরে থাকা অর্থাৎ যারা এদেশকে ভালোবাসে না, এদেশে যারা ভবিষ্যৎ নাগরিক হবে, যারা দেশকে নেতৃত্ব দিবে এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে তাদের ভালো চায় না এমন একটা চক্র প্রত্যয় স্কিম চালু করছে। যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পেনশন স্কিম চালু করছিলেন তখন প্রত্যয় স্কিম চালু ছিল না। পরে সংযোজন করা হয়েছে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র দেশে চলছে।
বেতন বৈষম্য সম্পর্কে তিনি বলেন, বেতন বৈষম্য বলতে আমরা বুঝি চলমান পেনশন স্কিমে আমরা কিন্তু কোন ধরনের স্কিম পাব সেটা বলে দেওয়া আছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যাদের কোনো পেনশন স্কিমও ছিল না তাদের লেভেলে নিয়ে যাওয়াটাই হলো একটা বৈষম্য। আরেকটা বৈষম্য হলো বিশ্বের সকল উন্নত রাষ্ট্র এমনকি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতও শিক্ষকদের সুপারগ্রেড বেতন চালু আছে। সুতরাং আমাদের স্বতন্ত্র পেনশন স্কিম এবং সুপারগ্রেড দিতে হবে। পাশাপাশি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন