বাংলাবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকের সঙ্গে সাধারন জনতার সংঘর্ষ, আহত-১৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধায় দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় সাতজনকে আটক করে পুলিশ ও বিজিবির কাছে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার (১৬ আগস্ট) উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সিপাইপাড়া বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ সংঘর্ষে ভাড়াটিয়া লোক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষের সময় সাতজনকে পুলিশ-বিজিবির হাতে সোপর্দ্য করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন অনেক দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। তাই সোমবার ভাড়া করা লোক নিয়ে পরিষদে আসেন তিনি। এসময় তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে হামলা শুরু করেন। এমন সময় তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসা ভুক্তভোগীরা সামনা সামনি হলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

সংঘর্ষে সিপাইপাড়া বাজারে বিভিন্ন দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। মারধরের শিকার হন অনেকেই। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন, স্থানীয় পথচারী, ব্যবসায়ী ও বিএনপির তিন সমর্থকসহ মোট ১৫জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন।

পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ৭ জন এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে যারা আটক হয়েছে তারা সবাই চেয়ারম্যানের লোক বলে জানান স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি এখনো খোলাসা করেনি পুলিশ।

এদিকে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার বিকেলের দিকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলেনের বাড়ি ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার বাড়ি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তিনি এর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় এ ঘটনায় ৭ জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।