বাইকে চড়েই বিশ্বের ৪৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন এই ইরানি কন্যা!
বাইকে চড়েই বিশ্বের ৪৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন ইরানি কন্যা ড. মারাল ইয়াজারলু। জন্ম ইরানের তেহরানে।
ওইখানেই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। পরবর্তীতে ভারতে চলে আসেন এ নারী।
বর্তমানে ভারতের পুনের বাসিন্দা ইরানি এই মেয়ের মোটর বাইকের কাণ্ডকারখানা রীতিমতো চমকপ্রদ। মাত্র ১৮ মাসে ১ লাখ কিলোমিটার বাইক চালানোর মিশনে নেমেছেন ইয়াজারলু। এরই মধ্যে বিশ্বের সাতটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে বাইক নিয়ে সফরও করছেন তিনি। গত মার্চ মাসে সফর শুরু করেন ৩৫ বছর বয়সী ইয়াজারলু। বর্তমানে রয়েছেন পেরুতে।
জন্মগতভাবে ইরানের বাসিন্দা মারাল ইয়াজারলু ১৫ বছর আগে ভারতে চলে আসেন। ইরানে নারীদের বাইক চালানো নিষিদ্ধ।
তাই ভারতে আসার আগে বাইকের বিষয়ে প্রায় কিছুই জানতেন না তিনি। ভারতে এসে ধীরে ধীরে মোটর বাইক রাইডিং-এর নেশায় বুঁদ হয়ে যান তিনি। ৮০০ সিসি বিএমডব্লিউজিএস নিয়ে দুনিয়া ভ্রমণে বেরিয়েছেন ইয়াজারলু। সঙ্গে রয়েছেন ফটোগ্রাফার ও ডকুমেন্টারি ছবি নির্মাতা পঙ্কজ ত্রিবেদী।
ইয়াজারলু জানিয়েছেন, নারীদের সম্পর্কে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা ভাঙতেই তাঁর এই বাইক-সফর বলে।
তাঁর এই মিশনের নাম ‘রাইড টু বি ওয়ান’। ইতিমধ্যেই মায়ানমার, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া পার করে সফরের প্রথম ভাগ পেরিয়ে এসেছেন তিনি। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো। তৃতীয় ভাগে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, মিশর এবং চতুর্থ ও চূড়ান্ত ভাগে গ্রিস, তুরস্ক, চীন সফর করে ভারতে ফেরত আসবেন তাঁরা।
সঙ্গে কোনও ব্যাকআপ ভেহিকেল বা সাপোর্ট টিম রাখেননি ইয়াজারলু ও পঙ্কজ। প্রতিটা দিনের জন্য তাঁরা নতুন করে তৈরি হচ্ছেন। চূড়ান্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বাইক সফর বন্ধ রাখেননি ইয়াজারলু। যাবেন এমনকি অ্যান্টার্কটিকাতেও। ইরানেও যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
জানালেন, ‘আমার জন্মভূমিতে মেয়েরা বাইক চালাতে পারে না। আমি সেখানে গিয়ে নেতাদের অনুরোধ জানাব যাতে তাঁরা এই ফতোয়া তুলে নেন। মেয়েদের বাইক চালানো ইসলাম-বিরোধী নয়, এটাই তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করব। ’
শিক্ষাগত দিক দিয়ে ইয়াজারলু একজন এমবিএ। মার্কেটিং-এ পিএইচডি করেছেন তিনি। পঞ্চশীল রিয়েলিটির রিটেইল ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান। পাশাপাশি Ma/Ya নামে একটি নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ডও চালু করেছেন ইয়াজারলু। বিভিন্ন দেশ ঘুরে এই সফরে ফ্যাব্রিককে আরও ভালো করে বোঝার চেষ্টাও করছেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন