বাগেরহাটের শরণখোলায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলে স্কুল ছাত্রী
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/10/Sarankhola-Pic-26.10.23-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী মীম আক্তার(১৩)।
ঘটনাটি ঘটেছে (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামিম বর ও কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামের মৃত্য বাদশা হাওলাদারের মেয়ে ও জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীম আক্তারের সাথে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের মো: সরোয়ার হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইসা হাওলাদার(১৯)সাথে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল।
এমন গোপন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামিম শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইকরাম হোসেনের সহযোগীতায় গত বুধবার(২৫ অক্টেবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর মোঃ ইসা হাওলাদার ও কনের মা নাজমা বেগমকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা করে অনাদায়ে সাত দিনের জেল প্রদান করে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামিম বলেন, উপজেলায় বাল্যবিবাহ রোধে তার এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি উপজেলার সচেতন মহলকে বাল্য বিবাহ রোধে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার আহবান জানান। এছাড়া গোপনে কোনো বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আস্বস্থ করেন।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন